১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর সংঘটিত জেল হত্যা মামলার রায় কার্যকর করতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার সকালে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সকালে জেলখানায় প্রবেশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর তিনি জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদের ছেলে তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ ও মেয়ে সিমিন হোসেন রিমি, শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে রেজাউল করিম, ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হকসহ আরও অনেকে প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘দেশে দুটি ঘৃণ্যতম হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। এর মধ্যে একটি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা, অন্যটি একই বছরের ৩ নভেম্বর জেল হত্যা। এগুলো কারা ঘটিয়েছে তা সবাই জানে। অনেক হত্যাকারীরই বিচার হয়েছে। জেলখানা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। কিন্তু কীভাবে আইন ভেঙে এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে, তা সবাই জানে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার হয়েছে এবং রায় আংশিক কার্যকর হয়েছে। যারা পলাতক আসামি আমরা তাদের খুঁজে বেড়াচ্ছি। যখন আসামিদের নিজেদের আওতায় আনতে পারব তখনই ফাঁসির রায় কার্যকর হবে। জেল হত্যার রায় কার্যকরের জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি’।
১৯৭৭ সালের সেনা বিদ্রোহের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান সেনা বিদ্রোহের নামে শত শত লোককে হত্যা করেছে, সেটি একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা।
তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন রয়েছে। আমরা রিট আবেদনের রায়ের অপেক্ষা করছি। আমরা চাই দোষীদের যেন বিচার হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইলে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের বিচার সামরিক আদালতে করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার প্রচলিত বিচার ব্যবস্থায় হয়েছে। তাদের ফাঁসিও হয়েছে। বিডিআর হত্যাকান্ডের বিচার হয়েছে এবং এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করায় তা এখন উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।