ঢাকা গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন জলবায়ু সম্মেলন কোপ ২৬ এ বাংলাদেশের সভাপতিত্বে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সমর্থনে জাতিসংঘে জলবায়ু অভিযোজন এবং অর্থায়ন সম্পর্কিত দাবিতে রবিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের কোপ ২৬-কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের প্রস্তুতি এবং প্রত্যাশা সম্পর্কে অবহিত করার সময় এই তাগিদ দেন।
বৈঠকের পর ড. মোমেন বলেন, আমরা কোপ ২৬ এ তাদের (ইইউ) অংশীদারিত্ব চাই। যাতে করে তারা আমাদের বিষয়গুলোর পক্ষে কথা বলে- যা আমরা কোপ ২৬ সম্মেলনে উত্থাপন করব।
কোপ ২৬ এর সময় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রধান বিষয়গুলো হবে জলবায়ু শরণার্থী হওয়া থেকে মানুষকে বিরত রাখতে জলবায়ু অভিযোজনে উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে সহায়তা আদায়।
ক্ষয়ক্ষতি এবং লোকসানের বিষয়টি কোপ ২৬ এজেন্ডায় যুক্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে মোমেন বলেন, আমরা কোপ ২৬ এর সময় ক্ষয়ক্ষতি ও লোকসান তুলে ধরবো। আমরা এই বিষয়ে তাদের (ইইউ) সমর্থন চেয়েছিলাম।
মন্ত্রী বলেন, তিনি ইইউকে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বার্ষিক জলবায়ুু তহবিল উপলব্ধিতে অবদান রাখার আহ্বান জানান- যা ২০২০ সাল থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। এটা ২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তিতে সবচেয়ে কার্বন নির্গমনকারী উন্নত দেশগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী যে- কোপ ২৬ সম্মেলনে ১০০ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন অঙ্গীকার নিশ্চিত করা হবে।’
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশও কোপ ২৬-এ ৫০:৫০ অনুপাতের অধীনে প্রশমন এবং অভিযোজনের জন্য জলবায়ু তহবিল বরাদ্দের দাবি তুলবে।
ড. মোমেন জি-৭ দেশগুলো কর্তৃক ২০৫০ সালের ঘোষণা অনুসারে ‘নেট জিরো’ কার্বন নির্গমনকে স্বাগত জানান, যেহেতু বিশ্বে এসব উন্নত দেশগুলো সর্বাধিক কার্বন নির্গমনকারী।
তবে ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ২০৫০ সালের মধ্যে ‘নেট জিরো’ ঘোষণা করতে পারবে না কারণ এটি এখনও একটি উন্নয়নশীল দেশ এবং উন্নত দেশগুলোর কার্বনের নির্গত করে তুলনায় নামমাত্র কার্বন নির্গত করে।