ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম থেকে ২০০ নতুন শিক্ষার্থী ঢাকায় আমেরিকান দূতাবাসের ইংলিশ অ্যাক্সেস মাইক্রোস্কলারশিপ প্রোগ্রামে অংশ নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত দুই বছরব্যাপী অ্যাক্সেস প্রোগ্রামের নতুন কোহর্টে অংশ নেওয়া এসব শিক্ষার্থী ইংরেজি ভাষা, বিশ্লেষণী-চিন্তা ও নেতৃত্বের দক্ষতা জোরদার করার সুযোগ পাবে।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দূতাবাস জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার আমেরিকার পররাষ্ট্র দফতরের (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) অর্থায়নে পরিচালিত ইংলিশ অ্যাক্সেস মাইক্রোস্কলারশিপ প্রোগ্রামের নতুন কোর্সের জন্য নির্বাচিত হওয়া ২০০ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। রাষ্ট্রদূত জীবন বদলে দেওয়ার এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামের স্থানীয় মাদরাসা, সরকারি ও কারিগরি স্কুলের ১০০ জন তরুণী ও ১০০ জন তরুণ শিক্ষার্থীর প্রশংসা করেন।
মিলার বলেন, ‘অ্যাক্সেস প্রোগ্রামে আপনাদের অংশগ্রহণ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আমাদের আস্থা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার দীর্ঘ বন্ধুত্ব গড়ে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করি, আপনারা আপনাদের তারুণ্য দিয়ে আগামী ৫০ বছরের জন্য এগিয়ে যাওয়ার যে পথ রচনা করবেন অন্যরা সেটি অনুসরণ করবে। এছাড়া আপনারা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে কাজ করবেন।’
শুরুতে পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৯৮ সালের আগস্ট মাসে প্রতিষ্ঠিত ল্যাঙ্গুয়েজ প্রফিসিয়েন্সি সেন্টার (এলপিসি)-এর লক্ষ্য ছিল প্রান্তিক পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষায় যোগাযোগ করার দক্ষতা ও কম্পিউটার ব্যবহারের প্রাথমিক জ্ঞান গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া। এলপিসি ২০০৪ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের অর্থায়নে পরিচালিত বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম বাংলাদেশব্যাপী বাস্তবায়ন করছে; যার মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ অন্তর্ভুক্ত, যেখানে এলপিসি শিক্ষাকেন্দ্র রয়েছে।