বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িতরা কেবল দণ্ডের বা শাস্তির আওতায় এসেছে। কিন্তু অনেক প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি। শোকের মাস আগস্টের প্রথম দিনে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আদ্যোপান্ত নিয়ে কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, ইতিহাসবিদ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কন্নোয়ন বিভাগের শিক্ষাবিদদের সঙ্গে।
তারা বলেন, যে বিচার হয়েছে তাতে শুধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি যারা জড়িত কেবল তারাই বিচার ও শাস্তির আওতায় এসেছে। অপরপক্ষগুলো বেঁচে গেছে বিচারের আওতা থেকে। তাই এই বিচারকে সুসম্পন্ন বিচার বলা যাবে না। গত বছর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, এ বিষয়ে তদন্ত কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হলেও গত এক বছরে এখনও তদন্ত কমিশন গঠিত হয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘এই ন্যাক্কারজনক হত্যাকাণ্ড কেন ঘটেছিল, কীভাবে প্রেক্ষাপট তৈরি করা হয়, অন্তরালে আরও কারা জড়িত ছিল, তা খুঁজে বের করতে গবেষণা দরকার।’ তিনি বলেন, ‘কারণ, বিচারের ক্ষেত্রে আপাতত যেটা হয়েছে সেটা হলো সামরিক বাহিনীর যে কয়জন সদস্য সরাসরি জড়িত ছিল তারাই কেবল বিচারের আওতায় এসেছে, সাজা পেয়েছে। কিন্তু বোঝাই যাচ্ছে এ ধরনের ঘটনা শুধু কয়েকজন সামরিক বাহিনীর সদস্য করেছে এটা বলা বা চিন্তা করাটা খুব ডিফিকাল্ট।’
আন্তর্জাতিক সম্পর্কন্নোয়ন বিভাগের এই শিক্ষক বলেন, ‘যে রাজনীতিবিদরা উৎসাহ দিয়েছে, এমনকি আমরা বিদেশি কথাবার্তা শুনি যে বেশ কতগুলো দেশ বা তাদের ব্যক্তিরা জড়িত ছিল। কিন্তু সেগুলো বড় আকারে এখনও পরিষ্কার হয়নি। তবে অন্য যারা জড়িত ভবিষ্যতে তাদের বিচার করা যাবে কিনা সেটা আমার জানা নেই। সেটা হয়তো অন্য বিষয়, কিন্তু এ ব্যাপারে আরও গবেষণা করা উচিত।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে। হত্যাকারীদের কারো কারো শাস্তি হয়েছে। কেউ কেউ পালিয়ে আছে। এই যে একটা পরিস্থিতি এতে সন্তুষ্টির কিছু নেই। জাতি হিসেবে এটা হলো আমাদের দায়িত্ব পালন।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জাতির জনক। তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ড সাধারণ হত্যাকাণ্ড নয়। সপরিবারে একজন জাতির জনককে হত্যা করা হয়েছে। যিনি সেই সময় সরকারপ্রধান, রাষ্ট্রপ্রধান। অতএব এখানে বিচার হওয়াটা, শাস্তি হওয়াটা সাংবিধানিক বিধান। এই দায়িত্ব আমরা বহুদিন পালন করতে পারিনি। সাংবিধানিক অর্ডিন্যান্স জারি করে কলঙ্কিত করা হয়েছিল। সেখান থেকে মুক্ত হয়ে একটা পরিস্থিতিতে আমরা এসেছি।’
একটি মন্তব্য করা হয়েছে
[…] এখনও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার অসম্পূর্… […]