সম্প্রতি ইউরোপ আমেরিকায় তেলের চাহিদা বাড়ায় বিশ্ববাজারে বাড়তে থাকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। তাই বিশ্ব অর্থনীতির ওপর চাপ কমাতে ও দাম হ্রাসের লক্ষ্য নিয়ে জ্বালানি তেলের উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো।
মহামারির এ সময়ে তেলের দাম বেড়ে আড়াই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে এসেছে। এ অবস্থায় চলতি মাসের শুরুতে ওপেক ও ওপেক প্লাস ভুক্ত দেশগুলো উত্তোলন বাড়ানোর জন্য বৈঠকে বসে। কিন্তু সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপরীতমুখী অবস্থান থাকায় শেষ পর্যন্ত দুদিনের আলোচনা ব্যর্থ হয়। ফলে বাতিল করতে হয় ওই বৈঠক। গতকাল রোববার লন্ডনে ফের ভার্চুয়ালি বৈঠকে বসে ওপেকভুক্ত দেশগুলো। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত তেল উত্তোলনে সম্মত হয়েছে দেশগুলো।
বৈঠকসূত্রে আরও জানা যায়, ওপেক মন্ত্রী পর্যায়ের এই বৈঠকে তেলের সরবরাহ বাড়াতে এবং চলমান ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানতে আগামী মাস থেকে তেল উত্তোলন বাড়াবে উৎপাদন ও রপ্তানিকারক দেশগুলো।
গত বছর মহামারির কারণে দাম কমে যাওয়ায় রেকর্ড পরিমাণ দৈনিক ১০ মিলিয়ন ব্যারেল (বিপিডি) উত্তোলন হ্রাস করে। যদিও আস্তে আস্তে তা আরও কমে পাঁচ দশমিক আট মিলিয়ন ব্যারেল দাঁড়ায়।
ওপেকভুক্ত ওই গ্রুপটির নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ওপেক ও এর মিত্ররা বাজারকে স্থিতিশীল করতে সহায়তার জন্য ২০২১ সালের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন আরও ২০ লাখ ব্যারেল সরবরাহ বাড়িয়ে দিতে সম্মত হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, রাশিয়া, কুয়েত, ইরাকসহ কয়েকটি দেশ ২০২২ সালের মে মাস থেকে আরও বেশি উৎপাদন বাড়াবে।
ওপেকের গত মাসের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন নিয়ে একটি সমীক্ষা চালায় ব্লুমবার্গ। এ সমীক্ষায় দেখা গেছে, জোটভুক্ত দেশগুলো গত মাসে সব মিলিয়ে দৈনিক ২ কোটি ৬৪ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল জ্বালানি তেল উত্তোলন করে।
ওপেকের সবচেয়ে বড় জ্বালানি তেল উত্তোলক দেশ সৌদি আরব। দেশটি বিশ্বের শীর্ষ রপ্তানিকারকও।