বুধবার আফগান-পাক সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখল করে নিয়েছে তালেবান। তালেবানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, কান্দাহারের ওয়েশ অঞ্চল তাদের দখলে এসেছে। এর ফলে দেশের প্রায় প্রতিটি সীমান্ত অঞ্চলেই নিজেদের আধিপত্য তৈরি করল তালেবান।
তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানান, স্পিন বোলডাক এবং চামানের মধ্যবর্তী সীমান্ত অঞ্চল এখন তাদের কব্জায়। কান্দাহারের কাস্টমসও মুজাহিদরা দখল করে নিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই সীমান্ত অঞ্চলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই সীমান্ত ব্যবহার করা হয়। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানে ঢোকার ক্ষেত্রেও এই সীমান্তটি গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে ইরান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত অঞ্চলও দখল করেছে তালেবান। ফলে বলাই যায়, আফগানিস্তানের স্থলসীমান্তের একটি বড় অংশ এখন তালেবানের হাতে।
মার্কিন সেনা এখনো পুরোপুরি চলে যায়নি। তারমধ্যেই আফগানিস্তান দখলের পথে আরো এক ধাপ এগলো তালেবান। নামপ্রকাশ করা যাবে না এই শর্তে আফগান সেনার এক অফিসার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তালেবান যে দাবি করছে, তা সত্য। শয়ে শয়ে সেনা কম্যান্ডো ওই সীমান্তে তালেবানের কাছে আত্মসমর্পন করেছে।
সংবাদসংস্থা এএফপি-কে পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, ওই সীমান্তে আফগানিস্তানের পতাকা নামিয়ে তালেবান পতাকা উড়িয়ে দিয়েছে মুজাহিদরা। তবে আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এখনো খবরের সত্যতা স্বীকার করেনি। তারা জানিয়েছে, খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
আফগানিস্তানে প্রথম সৈন্য পাঠিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ। বুধবার তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যে ভাবে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করা হচ্ছে, তিনি তার সঙ্গে সহমত নন। এর ফলে আফগান নারী এবং শিশুরা ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়বেন বলে বুশের অভিমত। সকলকে ধরে ধরে মারা হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বুশ।
একটি মন্তব্য করা হয়েছে
[…] আফগানিস্তানের প্রায় অর্ধেক জেলা সদর নিয়ন্ত্রণ করছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক […]