অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ সর্বশেষ

ঈদুল আযহার নামাজ আদায়ে ধর্ম মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা

ঈদুল আযহার নামাজ আদায়ে ধর্ম মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা

দেশের বর্তমান কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক নিম্নবর্ণিত শর্তসাপেক্ষে পবিত্র ঈদুল আযহা নামাজের জামায়াত আদায়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আজ নির্দেশনা জারি করেছে।

এতে বলা হয়, দেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক কতিপয় বিধি-নিষেধ আরোপ করে ইতোপূর্বে  নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজের জামায়াত আদায়ের জন্য বলা হয়, করোনা এর স্থানীয় পরিস্থিতি ও মুসল্লিদের জীবন-ঝুঁকি বিবেচনা করে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনা ও সমন্বয় করে যথোপযুক্ত বিবেচিত হলে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক ঈদুল আযহার জামায়াত মসজিদ, ঈদগাহ বা  খোলা জায়গায় আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।   

মসজিদে ঈদের নামাজ আয়োজনের ক্ষেত্রে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা জীবাণুমুক্ত করতে হবে। মুসল্লিগণ প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে পারবেন। প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে মসজিদ বা ঈদগাহে আসতে হবে এবং ওযু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদ বা ঈদগাহে ওযুর স্থানে সাবান, পানি ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদ বা ঈদগাহ মাঠের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান ও পানি রাখতে হবে।  

ঈদের নামাজের জামায়াতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে। শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের ঈদের নামাজের জামায়াতে অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত করা হলো। সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে ঈদের জামায়াত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে।

করোনা মহামারির এ বৈশ্বিক মহাবিপদ হতে রক্ষা পেতে বেশি বেশি তওবা, আস্তাগফিরুল্লাহ ও কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে এবং আমাদের কৃত অন্যায়-অপরাধ এর জন্য ঈদের নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করা হবে। খতিব, ইমাম, মসজিদ বা ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক নির্দেশনাগুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, উল্লিখিত নির্দেশনা লংঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে ।

সম্পর্কিত খবর

ইতিহাসের এই দিনে: প্রথম ম্যারাথন

Hamid Ramim

স্বপ্নের পদ্মা সেতুর স্ল্যাব বসানোর কাজ শেষ, পূর্ণ রূপ পেল সড়কপথ

News Editor

২.৫ শতাংশ প্রণোদনার সিদ্ধান্তে রেমিট্যান্স বেড়েছে: কাদের

gmtnews

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত