আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি ছেড়ে চলে গেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনীর সেনাবাহিনী। প্রায় দুই দশক ধরে তালেবানবিরোধী লড়াইয়ের কেন্দ্রে ছিল এই ঘাঁটি। ১১ সেপ্টেম্বরের সময়সীমার মধ্যে অবশিষ্ট সৈন্যদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার কথা রয়েছে।
আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার করার সময়সীমা নির্ধারিত আছে এবছর ১১ সেপ্টম্বরে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার ২০ তম বর্ষপূর্তির দিনে। তার আগে ৪ জুলাইয়েই বেশিরভাগ সেনা প্রত্যাহার হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু বাগরাম বিমানঘাঁটি খালি হল তারও আগে। আফগানিস্তানের বিভিন্ন স্থানে তালেবানের দাপট বাড়তে থাকার মধ্যে রাজধানী কাবুলের কাছের গুরুত্বপূর্ণ এই বিমানঘাঁটি খালি হয়ে যওয়া নিঃসন্দেহে উদ্বেগের।
তালেবানরা গত দুই মাসে আফগানিস্তানে অভ্যহত আক্রমণ জোরদার করেছে, ইতোমধ্যে কয়েক ডজন জেলা নিজেদের দখলে নিয়েছে, আফগান নিরাপত্তা বাহিনী দেশটির প্রধান শহরগুলোর আশপাশে তাদের ক্ষমতা একত্রিত করেছে।
গুরুত্বপূর্ণ বাগরাম বিমান ঘাঁটির উপর আফগান বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার ক্ষমতার ওপর নিকটবর্তী রাজধানী কাবুলের নিরাপত্তা এবং তালেবানদের ওপর চাপ বজায় রাখা নির্ভর করছে।
আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি এর আগেই গত সপ্তাহে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। আফগানরা এবার নিজেদের ভবিষ্যৎ নিজেরই গড়ুক সেটিই ছিল বৈঠকে বাইডেনের কথা। আর গনি বলেছিলেন, মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পরিণতি সামাল দেওয়াটাই এখন তার কাজ।
আফগানিস্তানে কাবুল বিমানবন্দর, মার্কিন দূতাবাস ও কূটনীতিকদের সুরক্ষায় প্রায় ৬৫০ মার্কিন সেনাও রেখে দেওয়া হচ্ছে। তাদের সঙ্গে কাবুল বিমানবন্দরের সুরক্ষায় থাকছে তুরস্কের সেনারাও। কিন্তু সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কাবুলের সুরক্ষা এবং তালেবানকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য বাগরাম ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারাটাই আফগান সরকারের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
একটি মন্তব্য করা হয়েছে
[…] থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করছে। এ সুযোগে তালেবান তাদের হামলা ও […]