দেশে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন তৈরীর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সরকারের একমাত্র ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) গোপালগঞ্জের কারখানাটির সক্ষমতাকে বিশেষ বিবেচনায় রাখছে কমিটি।
কমিটিতে অন্যান্যের মধ্যে আছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মনোনীত দুজন প্রতিনিধি এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব (জনস্বাস্থ্য)।
গতকাল শনিবার এই কমিটির দুজন সদস্য জানিয়েছেন, সরকারি পর্যায়ে টিকা উৎপাদনের সম্ভাবনা তাঁরা খতিয়ে দেখবেন। এ ক্ষেত্রে সরকারের একমাত্র ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইডিসিএলের সক্ষমতাকে তাঁরা বিশেষ বিবেচনায় রাখবেন।
১৬ জুন জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, দেশে আন্তর্জাতিক মানের টিকা ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার জন্য সরকার দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে চুক্তি করার উদ্যোগ নিয়েছে। বিষয়টি মন্ত্রিসভায় অনুসমর্থন ও অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে যৌথভাবে টিকা তৈরি করতে চীন ও রাশিয়াকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সরকারি অথবা বেসরকারি কোম্পানি যাদের টিকা তৈরির সক্ষমতা আছে তাদের অনুমোদন দেওয়া হবে।
একসময় সরকারি প্রতিষ্ঠান জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট টিকা তৈরি করত। এখন তাদের সেই সক্ষমতা নেই বলে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়কে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক। বেসরকারিভাবে তিনটি প্রতিষ্ঠান টিকা তৈরি করতে পারে। তবে করোনার টিকা তৈরির সক্ষমতা আছে একটি প্রতিষ্ঠানের এমন মূল্যায়ন করেছিল সরকার গঠিত আরেকটি কমিটি।
বিদেশ থেকে টিকা কেনা এবং টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স থেকে পর্যাপ্ত টিকা পাওয়া অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে টিকা উৎপাদনের বিষয়টি আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে।