যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) গভীর রাতে দ্বিতীয়বারের মতো ফিলিস্তিনের গাজায় বিমান হামলা করলো ইসরায়েল। এর ২৪ ঘণ্টা আগে (১৬ জুন) ভোরে প্রথম দফা হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর দাবি, গাজা থেকে ডিভাইসযুক্ত বেলুন পাঠানো হচ্ছে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে। ওই বেলুনের কারণে দেশটির বেশ কিছু জায়গায় আগুন ধরে যায়। প্রতিশোধ হিসেবেই বিমান হামলা চালানো হচ্ছে গাজায়। ওদিকে, এমন ২০টি বেলুন ভূপাতিত করার কথা জানিয়েছে ইসরায়েলের ফায়ার সার্ভিস।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন সেনাপ্রধান আভিভ কোহাভি। গাজা উপত্যকায় যা ঘটছে তার জন্য হামাসকে দায়ী করে তাদের ওপর হামলা চালানোর বৈধতা দিয়েছেন তিনি।
হামাসের একজন মুখপাত্র ইসরায়েলের হামলার কথা স্বীকার করে বলেছেন, গাজার দক্ষিণ প্রান্তের একটি বিশেষ এলাকা লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েলের হামলা পর হামাসের সদস্যরা প্রকাশ্যে মেশিনগান থেকে গুলি ছুড়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলের বাহিনী সতর্ক সংকেত হিসেবে সাইরেন বাজিয়েছে।
পবিত্র রমজান মাসে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। টানা ১১ দিন সংঘর্ষের পর গত ২১ মে এই সংঘর্ষ বিরতি টানা হয়। টানা ১১ দিনের হামলায় শিশুসহ কমপক্ষে ২৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিল। আর ফিলিস্তিনের হামলায় নিহত হয়েছে ১৩ ইসরায়েলি।
দেশটির নবগঠিত জোট সরকার নাফতালি বেনেট ক্ষমতা গ্রহণ করার পরই দ্বিতীয় দফায় গাজায় হামলা চালানোর ঘটনা ঘটল।
একটি মন্তব্য করা হয়েছে
[…] জেরুজালেমের শেখ জাররাহতে ফিলিস্তিনিদের ওপর আবারও হামলা চালিয়েছে দখলদার […]