অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ সর্বশেষ

শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এগিয়ে

শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এগিয়ে

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও এগিয়ে আছে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত  ১৪ দশমিক ৫ ভাগ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাজ শেষ হয়েছে সাড়ে ১৭ ভাগ। সে হিসেবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৩ শতাংশ বেশি এগিয়েছে  নির্মাণকাজ।

প্রায় ১৮৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে এভিয়েশন ঢাকা কনসোরটিয়াম বা এডিসি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ চলছে। জাপানের দুটি ও কোরিয়ার একটি কোম্পানির প্রকৌশলীদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। মোট নির্মাণ ব্যয়ের মধ্যে সরকার ৬০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ও জাইকা ১২৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার প্রদান করবে।

গতকাল শনিবার বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, এই টার্মিনালের আকার হবে বর্তমান বিমানবন্দরের দ্বিগুণেরও বেশি। টার্মিনালের সঙ্গে আশকোনার হজ ক্যাম্প থেকে একটি টানেল যুক্ত থাকবে। এর মাধ্যমে হজযাত্রীরা হজ ক্যাম্প থেকে সরাসরি বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারবেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কভিডের আগ্রাসনে সারা বিশ্ব যখন থমকে ছিল, তখনো এক দিনের জন্যও বন্ধ হয়নি টার্মিনালের নির্মাণকাজ। ২০২৩ সালের জুন মাসে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে আমরা আশা করছি নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ হবে।’

পাঁচ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটারের এই টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি প্লেন রাখার অ্যাপ্রন (প্লেন পার্ক করার জায়গা) করা হয়েছে। টার্মিনাল ভবন হবে দুই লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটারের, যার ভেতরে থাকবে পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য ও অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির ছোঁয়া। বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে মেট্রো রেল। তৈরি হবে পৃথক একটি স্টেশনও। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে আসা যাত্রীরা বিমানবন্দর থেকে বের না হয়েই মেট্রো রেলে করে নিজেদের গন্তব্যে যেতে পারবেন। এ ছাড়া ঢাকার যেকোনো স্টেশন থেকে মেট্রো রেলের মাধ্যমে সরাসরি বিমানবন্দরে ডিপারচার বা বহির্গমন এলাকায় যাওয়া যাবে।

টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় হবে ২১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় একনেক। নির্মাণ কাজে অর্থায়ন করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। বৃহৎ এই থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পটির ব্যয় প্রথমে ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। পরে প্রকল্প ব্যয় ৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বাড়ানো হয়।

সম্পর্কিত খবর

সুইডেনের রাজকন্যা এখন খুলনার কয়রায়

gmtnews

মানুষ পুড়িয়ে মারলে একটাকেও ছাড়ব না: প্রধানমন্ত্রী

gmtnews

সংস্কারের জন্য ছয়জনের নেতৃত্বে ছয়টি কমিশন করা হয়েছে

gmtnews

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত