সরকার গঠনে একমত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েলের বিরোধীদলগুলো। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ১২ বছরের শাসনের অবসান হতে চলেছে।
বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটটি দল মিলে জোট সরকার গঠন করতে সম্মত হয়েছে। মধ্যপন্থী দল ইয়েশ আতিদ পার্টির নেতা ইয়াইর লাপিদ এ বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছেন।
চুক্তি অনুযায়ী, ডানপন্থী দল ইয়ামিনা পার্টির প্রধান নাফতালি বেনেত শুরুতে প্রধানমন্ত্রী হবেন। এরপর তিনি ইয়াইর লাপিদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। তবে সরকার গঠনের জন্য সংসদে ভোটাভুটি হবে এবং সেখানে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হবে। ১২০ আসনের নেসেটে সরকার গঠন করতে অন্তত ৬১ আসনের দরকার হয়। কিন্তু গত নির্বাচনেও এককভাবে সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনো দল। ফলে এবারো জোট সরকারের দিকেই ঝুঁকতে হচ্ছে ইসরায়েলিদের।
যে দলগুলো মিলে এই জোট হয়েছে, তার মধ্যে ইসরায়েলের সকল ঘরানার রাজনৈতিক দল রয়েছে। রাজনৈতিক দিক দিয়ে এসব দলের মধ্যে খুব কম বিষয়ে মতের মিল রয়েছে। শুধু একটি বিষয় ছাড়া, আর তা হলো দেশটিতে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ক্ষমতাচ্যুত করা।
ইসরায়েলের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল লিকুদ পার্টির নেতা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা একাধিক মামলা দেশটির আদালতে বিচারাধীন আছে। গত মার্চে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনেও তিনি চূড়ান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এ জোটের মাধ্যমে ইসরায়েলের ডান, বাম ও মধ্যপন্থিরা এক কাতারে আসবেন। আদর্শগত অবস্থান থেকে এক না হলেও নেতানিয়াহুকে উৎখাত করার লক্ষ্যে জোটবদ্ধ হতে মরিয়া ছিল দলগুলো।