সীমান্তের ১১টি জেলায় সংক্রমণ শনাক্তের হার ঊর্ধ্বমুখী। বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এসব জেলার হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেনসহ অন্যান্য চিকিৎসাসামগ্রী মজুত করা হয়েছে। গতকাল বুধবার অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সারাদেশে গতকাল প্রায় ২ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৩৪ জন। একদিনে শনাক্তের হার প্রায় ১০ শতাংশ। এই মুহূর্তে রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীর চাপ কম আছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক বলেছেন, শনাক্ত হারের বিপরীতে ১১টি জেলায় সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। বুধবার (২ জুন) স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘জেলাগুলোতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে সতর্কতা অবলম্বনের ক্ষেত্রে শিথিলতা দেখানোর সুযোগ নেই। মে মাস পর্যন্ত ৪১ হাজার ৪০৮ জন নতুন রোগীকে চিহ্নিত করা গেছে। এপ্রিল মাসের সঙ্গে তুলনা করলে এ সংখ্যা কিছুটা কম। কিন্তু সামগ্রিক বিবেচনায় আমরা চাই যে আরও কমে থাকুক।’
সীমান্তবর্তী যেসব জেলায় করোনা রোগী বাড়ছে, সেখানকার প্রশাসন স্থানীয়ভাবে লকডাউনসহ কিছু বিশেষ বিধিনিষেধ আরোপ করছে। সীমান্তবর্তী নওগাঁ জেলায় করোনা সংক্রমণের হার প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। গত ২০ মে থেকে গতকাল পর্যন্ত করোনা শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। জেলার মধ্যে নওগাঁ পৌরসভা ও সীমান্তবর্তী উপজেলা নিয়ামতপুরে দুই সপ্তাহ ধরে করোনার সংক্রমণের হার প্রায় ৫০ শতাংশ।
সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় ১৫ দফা নির্দেশনা দিয়ে নওগাঁ পৌরসভা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নতুন বিধিনিষেধ জারি করেছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। খুলনা নগরের সদর, সোনাডাঙ্গা ও খালিশপুর তিন থানা এলাকায় দোকানপাট বন্ধসহ কিছু বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, এসব জেলায় পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সারা দেশে প্রায় ১ হাজার ৫৮৯টি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা এবং ১ হাজার ৪৬৯টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর সরবরাহ করা হয়েছে।