এলাম, দেখলাম এবং গোল করলাম। ফুটবলের সঙ্গে আর্লিং হলান্ডের সখ্যটা যে এমনই। এবারও ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই গোলের খাতা খুলেছেন হলান্ড। সিটির হয়ে এটি ছিল তাঁর শততম ম্যাচ। আর ১০০ ম্যাচে তাঁর গোল ৯১টি। গোলের এই পরিসংখ্যান রীতিমতো অবিশ্বাস্য।
এমন পারফরম্যান্সের পর ম্যাচ শেষে কোচ পেপ গার্দিওলার কাছ থেকে দারুণ প্রশংসাও পেয়েছেন হলান্ড। এমনকি নরওয়েজীয় এই স্ট্রাইকার সম্পর্কে বলতে গিয়ে লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর উদাহরণও টেনেছেন গার্দিওলা।
গতকাল চেলসির বিপক্ষে ২–০ গোলে জেতা ম্যাচে প্রথম গোলটি আসে হলান্ডের কাছ থেকে। ম্যাচের ১৮ মিনিটে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে গোলটি করেন তিনি। ম্যাচ শেষে তাঁকে নিয়ে গার্দিওলা বলেছেন, ‘এগুলো মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সংখ্যা। তারা গত এক–দেড় দশক ধরে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছে। সংখ্যার দিক থেকেই এটা তেমন স্তরের।’
২০২২ সালে ম্যান সিটিতে নাম লেখানোর পর থেকে গোল করে চলেছেন হলান্ড। প্রথম মৌসুমেই ভেঙে দেন একাধিক রেকর্ড। গত মৌসুমেও লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন তিনি। তাঁর গোলক্ষুধা নিয়ে গার্দিওলা বলেছেন, ‘আমি জানি না, সে কীভাবে এটা করে। কিন্তু প্রিমিয়ার লিগে এবং এই দেশে ১০০ ম্যাচে ৯১ গোল করা অবিশ্বাস্য ব্যাপার।’
আগামী প্রজন্মের জন্য হলান্ড একজন আদর্শ হবেন বলে উল্লেখ করেছেন সাবেক লিভারপুল ও টটেনহাম মিডফিল্ডার জেমি রেডন্যাপ। স্ট্রাইকারদের মর্যাদা ফিরে পাওয়ার বিষয়টি সামনে এনে তিনি বলেছেন, ‘যেকোনো শিশু যদি তাকে খেলতে দেখে, তবে তারা স্ট্রাইকার হতে চাইবে। অনেক কোচ ম্যানচেস্টার সিটির সফলতা দেখার পর দলে একজন নাম্বার নাইন চাইবে।’
হলান্ড অবশ্য এত সব প্রশংসার পরও পা মাটিতে রাখছেন। দলে নিজের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি দলকে সাহায্য করতে চাই। আমি চাই দলের খেলায় আরও সম্পৃক্ত হতে। পেপ (গার্দিওলা) এটাই চায়।’