অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
অর্থনীতি বাংলাদেশ সর্বশেষ

এই বাজেট বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট উচ্চাভিলাষী নয় উল্লেখ করে এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
তিনি বলেন, “আমি এই বাজেটকে উচ্চাভিলাষী মনে করি না। ‘এই বাজেট বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।”
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আজ জাতীয় সংসদে বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট আমরা দিয়েছি। বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। ২.৬৫ লাখ কোটি টাকা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) এবং ৬.৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেউ কেউ বাজেটকে উচ্চাভিলাষী বলেছেন। কেউ বলেছেন ঘাটতি বাজেট। এই বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সক্ষমতা আমাদের আছে কি না?
চ্যালেঞ্জ নেওয়াটাই তো আমাদের কাজ। আমরা তো চ্যালেঞ্জ নিয়েই চলতে চাই এবং চ্যালেঞ্জ নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, হ্যাঁ, একটা লক্ষ্য আমরা স্থির করি, শতভাগ কখনো পূরণ হয় না, হওয়া সম্ভব নয়। তারপরও আমাদের সুনির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য থাকে যে এখানে আমরা যাবো। সেটা আমরা যেতে পেরেছি।
তিনি বলেন, কোথায় ৬২ হাজার কোটি টাকার বাজেট, আর কোথায় ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট। আমরা তো এই জায়গায় আসতে পেরেছি। চ্যালেঞ্জ নিয়েছি বলেই না সম্ভব হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ইচ্ছাটা কি? দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন। সেজন্যই তো উন্নয়নটা হয়। আমাদের উন্নয়নের ধারা যেন অব্যাহত থাকে সে লক্ষ্যেই আমরা এই বাজেট প্রণয়ন করেছি, এবং উন্নয়ন বাজেট দিয়েছি এখানে কমানোর কিছু নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র মুক্ত, উন্নত, সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলা আমরা যে গড়ে তুলবো তারই পদক্ষেপ হিসেবে এই বাজেটে বিভিন্ন যে লক্ষ্যগুলো আমরা স্থির করেছি সেগুলো তুলে ধরা হয়েছে। আমি মনে করি এই বাজেটের মধ্যে দিয়ে আগামী দিনে আমরা যে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করেছি ২০৪১ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো। সেই ধারাবাহিকতা আমাদের আছে।
আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনী ইশতেহার ভুলে যায় না এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহন করে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন। বিরোধী দলের নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরও অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন।

সম্পর্কিত খবর

গাজা সিটি ছাড়তে পারছেন না লোকজন

Hamid Ramim

বাংলাদেশের বিশ্বমানের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সক্ষমতা রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

gmtnews

জলবায়ু ও পরিবেশ উপকূলে আঘাত হানছে রিমালের অগ্রভাগ

gmtnews

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত