৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস।১৯৭৭ সাল থেকে জাতিসংঘ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হয়।এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘নারীর সমাধিকার,সমসুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ।’
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ‘নারী’ কবিতায় বলেছেন,‘বিশ্বের যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর/অর্ধেক তার করিয়াছে নারী,অর্ধেক তার নর।’দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী অর্থাৎ নারীর ক্ষমতায়ন ছাড়া একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন কখনো সম্ভব নয়।
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণের পরই নারীর যথার্থ মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করেন।যার কারণে নারীরা এখন সামাজিক,অর্থনৈতিক,রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের সংবিধানের ১৯(৩) অনুচ্ছেদ,জাতীয় জীবনে সর্বস্তরে নারীদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।শেখ হাসিনার সরকার নারী পুরুষের সমান অধিকার প্রকৃতপক্ষে বাস্তবায়ন করেছে।সন্তানের পরিচয় নির্ধারণে বাবার নামের সাথে মায়ের নাম যুক্ত করা হয়েছে।যা নারী মর্যাদার ক্ষেত্রে এক অনন্য মাইলফলক।রাজনীতি,কূটনীতি,আইন শৃঙ্খলা,ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীরা ব্যাপক হারে এগিয়ে এসেছে।গ্রাম কিংবা শহরে পুরুষের সাথে পাল্লা দিয়ে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে।