চায়ের রাজধানী বলে খ্যাত শ্রীমঙ্গলে নেমেছে কনকনে শীত। গত কয়েক দিন থেকে হিমেল হাওয়ার কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
ভোরে কুয়াশার দাপটে চারদিক ধোঁয়াটে আঁধারে ছেয়ে যায়।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বৃহত্তর সিলেটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিকেল হওয়ার পরপরই শ্রীমঙ্গলে শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়। শীত ও হিমেল হাওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমূল ও শ্রমজীবী মানুষ।
শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তিনি আরও বলেন, ধীরে ধীরে এখানকার তাপমাত্রা এখন কমছে। ১৭, ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর থেকে তাপমাত্রা আরও কমবে। চলতি মৌসুমে অতীতের রেকর্ড অনুযায়ী তাপমাত্রা আরও নিচে নামতে পারে। শ্রীমঙ্গলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে।
এদিকে শীতজনিত রোগে প্রতিদিন মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে শিশু ও বয়স্কদের নিয়মিত ভর্তি অব্যাহত রয়েছে। গরম কাপড়ের দোকানে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের ভিড় প্রতিদিন বাড়ছে।
মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সিওপিডি রোগী যারা আসেন অর্থাৎ ধূমপানজনিত কিংবা মাটির চুলার কারণে যারা অসুস্থ তারাই এ সময় হাসপাতালগুলোতে বেশি ভর্তি হয়ে থাকেন। ঠাণ্ডাজনিত রোগের মধ্যে এটিও অন্যতম। তাই তাদের এ সময় আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
শীতজনিত রোগে আমাদের সব উপজেলার হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুই থেকে তিনদিন চিকিৎসা নিয়ে অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন বলে জানান তিনি।