অ্যান্টওয়ার্প ৩: ২ বার্সেলোনা
বার্সেলোনার গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিষয়টি হতে পারত এ খবরের শিরোনাম। কিন্তু অ্যান্টওয়ার্পের কাছে বার্সার অবিশ্বাস্য এক হারে অনেকটা আড়ালেই পড়ে গেছে সেটি। সব ছাপিয়ে অচেনা এক বেলজিয়ান ক্লাবের জয়ই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। তাও সাদামাটা কোনো জয় নয়। রীতিমতো রোমাঞ্চ ছড়িয়ে ম্যাচটা জিতেছে অ্যান্টওয়ার্প।
ম্যাচের ২ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যাওয়া অ্যান্টওয়ার্প ৩৫ মিনিটে ফেরান তোরেসের গোলে লিড হারায়। ৫৬ মিনিটে অবশ্য ফের এগিয়ে যায় অ্যান্টওয়ার্প। নির্ধারিত সময়েও এগিয়ে ছিল তারা। কিন্তু যোগ করা সময়ের এক মিনিটে মার্ক গুইয়ুর গোলে সমতায় ফেরে বার্সা। কিন্তু পরের মিনিটে গোল করে ৩-২ গোলে জয়ের আনন্দে মাতে অ্যান্টওয়ার্প।
একই রাতে পরের পর্বে যেতে হলে পোর্তোর বিপক্ষে জিততেই হতো শাখতার দোনেৎস্ককে। অন্য দিকে পোর্তোকে ড্র করলেই চলত। এমন সমীকারণ পোর্তো অবশ্য পেয়েছে ৫-৩ গোলের দারুণ জয়। যা বার্সার সঙ্গে তাদেরও নিয়ে গেছে শেষ ষোলোয়।
আগেই শেষ ষোলোয় নিশ্চিত করায় বার্সা এদিন অপেক্ষাকৃত তরুণ ও অনিয়মিত খেলোয়াড়দের মাঠে নামায়। যার প্রভাব পড়েছে দলটির খেলাতেও। এলোমেলো বার্সাকে পেয়ে শুরুতে লিড নেওয়া অ্যান্টওয়ার্প ম্যাচজুড়ে দারুণ খেলেছে। বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণ ও সুযোগ তৈরিতে বার্সাকে রীতিমতো হুমকিতে রেখেছে তারা। যার ফলও অবশ্য এসেছে ম্যাচ শেষে। বার্সেলোনার মতো দলকে ইউরোপিয়ান মঞ্চে হার উপহার দিয়েছে বেলজিয়াম ক্লাবটি।
রেড স্টার বেলগ্রেড ২: ৩ ম্যান সিটি
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আগেই চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। যেখানে রানার্সআপ হয়ে তাদের সঙ্গী হয় আরবি লাইপজিগ। রেড স্টার বেলগ্রেডের বিপক্ষে ম্যাচটি সিটির জন্য ছিল শুধুই নিয়মরক্ষার। অগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে অবশ্য দলের সেরা তারকাদের অনেককেই বিশ্রাম দেন পেপ গার্দিওলা। ফলে নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ আসে সিটির একাডেমি ফুটবলারদের।
সুযোগ পেয়ে নিজেদের মেলেও ধরেন সিটির বেঞ্চ খেলোয়াড়েরা। ১৯ মিনিটে অভিষেকেই সিটিকে এগিয়ে দেন ২০ বছর বয়সী তরুণ জুড হেমিল্টন। ৬২ মিনিটে আরেক তরুণ অস্কার বব নিজের প্রথম চ্যাম্পিয়নস গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন সিটিকে।
এরপর হুয়াং ইন-বিওমের গোলে ব্যবধান ২-১ করে বেলগ্রেড। তবে ৮৫ মিনিটে পেনাল্টি গোলে সিটিকে ফের দুই গোলের লিড এনে দেন কালভিন ফিলিপিস। যোগ করা সময়ে অবশ্য বেলগ্রেড আরও একটি গোল শোধ করে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ শেষ হয় ৩-২ গোলে। এ জয়ে গ্রুপ পর্বে ৬ ম্যাচের প্রতিটিতেই জিতল সিটি। ২০২১-২২ মৌসুমের ইয়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুলের পর দ্বিতীয় ইংলিশ দল হিসেবে এই কীর্তি গড়ল সিটি।