বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে বিমান চলাচলে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করতে সম্মতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ জন্য বাংলাদেশ ও ইইউর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল চুক্তির খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমরা বিমান চলাচলের জন্য চুক্তি করে থাকি। ইইউর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের বিমান চলাচল চুক্তি আছে। এ জোটের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছিল তারা চুক্তি করতে চায়। তাদের প্রস্তাবের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এখন তাদের সঙ্গে চুক্তি হবে। চুক্তি হলে ইইউর স্ট্যান্ডার্ড বা মান আমাদেরও বজায় রাখতে হবে। মাহবুব হোসেন আরও বলেন, বাংলাদেশ ও কসোভোর মধ্যে স্বাক্ষরের লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তির খসড়াও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সামুদ্রিক পর্যটন প্রসারে নীতিমালা
বঙ্গোপসাগরকে ঘিরে সামুদ্রিক পর্যটন প্রসারে একটি নীতিমালা করেছে সরকার। এ জন্য ‘সামুদ্রিক পর্যটন নীতিমালা ২০২৩’-এর খসড়ারও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মাহবুব হোসেন জানান, প্রথমবারের মতো এই নীতিমালা অনুমোদন দেওয়া হলো। বঙ্গোপসাগরকে ভিত্তি করে ট্যুরিজম ইকোনমি তৈরি করতে সরকারের তরফ থেকে কীভাবে সহযোগিতা করা হবে, কোন কোন এরিয়ায় কাজ করা হবে, তার একটি কার্যক্রম নীতিমালায় বলা আছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নীতিমালায় পর্যটকদের জন্য সুযোগ-সুবিধা, বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকারীদের সহযোগিতা, আন্তর্জাতিক ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে সমন্বয়ের বিষয়ে এতে বলা আছে। সমুদ্র পথে যদি কেউ হাজিদের নিতে চায়, সে ক্ষেত্রেও সরকার কীভাবে সহযোগিতা করতে চায় তা বলা আছে এতে।