সেটা গত এপ্রিলের ঘটনা। সৌদি প্রো লিগে আল হিলালের মুখোমুখি হয়েছিল আল নাসর। সেদিন ম্যাচের আগে আল নাসরের খেলোয়াড়েরা গা-গরমের সময় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে খেপিয়েছিলেন আল হিলালের সমর্থকেরা।
পর্তুগিজ তারকা আল নাসরে যোগ দেওয়ার পর গত জানুয়ারিতেই সৌদি আরবের ফুটবলপ্রেমীরা দেখেছেন লিওনেল মেসির নামে স্লোগান তাঁর তেমন একটা সহ্য হয় না। সৌদি সুপার কাপে রোনালদো গা-গরমের সময় তাঁকে খেপিয়ে তুলতে মেসির নামে স্লোগান ধরেছিলেন আল ইত্তিহাদের সমর্থকেরা। ব্যাপারটা যে রোনালদোর খুব ভালো লাগেনি, সেটি তাঁর মুখভঙ্গিতেই পরিষ্কার বোঝা গিয়েছে।
আল হিলালের সমর্থকেরা তাই সুযোগটা ছাড়েননি। সেই এপ্রিলে তারা গ্যালারিতে ‘মেসি! মেসি!’স্লোগান ধরার পর সহ্য করতে না পেরে বাজে অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন রোনালদো এবং সে জন্য সমালোচিতও হয়েছিলেন।
রোনালদো সম্ভবত সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। গতকাল সৌদি প্রো লিগে ‘রিয়াদ ডার্বি’ ম্যাচেও একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। আল হিলালের কাছে ৩-০ গোলে হারের এই ম্যাচে বিরতিতে রোনালদো মাঠ ছাড়ার সময় তাঁকে তাক করে গ্যালারিতে ‘মেসি! মেসি!’স্লোগান ধরেন আল হিলাল সমর্থকেরা। কিন্তু এ যাত্রায় রোনালদো আর মেজাজ হারাননি। মুচকি হাসির সঙ্গে উড়ন্ত চুমু উপহার দিয়ে মাঠ ছাড়েন আল নাসর তারকা।
নেইমারের দল আল হিলালের হয়ে বিরতির পর জোড়া গোল করেন সার্বিয়ান তারকা আলক্সান্দার মিত্রোভিচ। অন্য গোলটি তাঁর সার্বিয়া সতীর্থ সের্হেই মিলিনকোভিচ-সাভিচের। চোটের কারণে আপাতত মাঠের বাইরে রয়েছেন নেইমার। ম্যাচে আল হিলালের খেলোয়াড় ও রেফারির সঙ্গে কয়েকবার তর্কে জড়ান রোনালদো।
বিরতির পর আল নাসর ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকতে আল হিলালের জালে বলও পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তি অফসাইডের কারণে গোলটি নাকচ করে দেয়। আল নাসর কোচ লুইস কাস্ত্রো এ সময় ফোন বের করে সহকারী রেফারিকে ফোন দেওয়ার ভঙ্গি করে বোঝানোর চেষ্টা করেন, ভিএআর ভুল ছিল। যোগ করা সময়েও রোনালদো অফসাইড থাকায় গোল পায়নি আল নাসর।
আল হিলালের বিপক্ষে গোল না পেলেও সৌদি প্রো লিগটা ভালোই কাটছে ৩৮ বছর বয়সী রোনালদোর। এ মৌসুমে লিগে ১৪ ম্যাচে ১৫ গোল করে শীর্ষে রোনালদোই। এই হারে ১৫ ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা আল হিলালের সঙ্গে ৭ পয়েন্ট ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ল আল নাসর। সমান ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আল নাসর।