অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ সর্বশেষ

রেল কন্টেইনার স্টেশন: নিমতলা হবে বাণিজ্যিক হাব

যাত্রী ওঠা-নামার জন্য ডিসেম্বর থেকেই উন্মুক্ত হচ্ছে পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নিমতলা রেলওয়ে স্টেশন। এই স্টেশনের সঙ্গে কন্টেইনার ডিপো করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ডিপো চালু হলে ট্রান্স এশিয়া রেল নেটওয়ার্কের সুফল পাওয়া যাবে। তাই ভবিষ্যতে নিমতলা বাণিজ্যিক হাবে পরিণত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেছেন।

বৃহৎ এই নিমতলা স্টেশন অতিক্রম করে চলতি মাস থেকেই নিয়মিত দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। ডিসেম্বরেই যাত্রী ওঠা-নামার জন্য এটি উন্মুক্ত করা হবে। যাত্রী ওঠা-নামা শুরু হলে স্টেশনটির জৌলুস ছড়িয়ে পড়বে চারদিকে। বিশাল এই স্টেশনে প্রয়োজনীয় ভবন ছাড়াও গ্যাংহার্ড, ডরমিটরিসহ ১৩টি ভবনের কাজ শেষ। এক প্লাটফর্ম থেকে অপর প্লাটফর্মে যাওয়ার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ফুটওভার ব্রিজ। ঢাকা-মাওয়া বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে ঘেষা স্টেশনটি ভৌগলিক কারণেই বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।

পদ্মা রেল সেতু সংযোগ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক-২ ব্রিগেডিয়ার আহমেদ জামিউল ইসলাম বলেন, এই স্টেশন ঘিরে কন্টেইনার ডিপো করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে বৃহত্তর বাণিজ্য কেন্দ্রে রূপ নিবে এলাকাটি। এটি বাণিজ্যিক হাবে পরিণত হবে। স্টেশনটির সিগন্যাল কম্পিউটার বেজড ইন্টারলকিং- ‘সিবিআই’ সিস্টেমে যুক্ত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মেইনটেনেন্স ওয়ার্কশপ সুবিধাসহ এক হাজার ৪০০ মিটার দীর্ঘ এই স্টেশনের অগ্রগতি ৯০ শতাংশ।পদ্মা সেতু রেল নেটওয়ার্ক প্রকল্পের প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন সময় সংবাদকে বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথে ২০টি স্টেশন রয়েছে। এর মধ্যে নিমতলা স্টেশনেই কন্টেইনার স্টেশন করা হচ্ছে। এর থেকেই স্পষ্ট এই স্টেশন কতবেশি গুরুত্ব বহন করছে। এছাড়া ২০টি স্টেশনের মধ্যে ভাঙ্গা জংশনের পরই সর্ববৃহৎ স্টেশন এটি। এই স্টেশন ঘিরে অপার সম্ভাবনা হাতছানি দিয়ে ডাকছে।

তিনি জানান, কমলাপুর থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরত্বের হবে নিমতলা স্টেশনটি। এখান থেকে মাওয়া স্টেশনের দূরত্ব ১৩ দশমিক ৪০ কিলোমিটার। আর পদ্মা সেতুর দূরত্ব প্রায় ১৬ কিলোমিটার। আলমগীর হোসেন আরও জানান, আড়িয়ালবিলের সঙ্গের এই স্টেশনটিতে কন্টেইনার স্টেশন হলে আন্তর্জাতিক রুটের অনেক পণ্য এখান থেকে খালাস হবে। আবার এই স্টেশন থেকেই পণ্য রফতানি করা যাবে। তাই গার্মেন্টসহ অনেক শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠবে এই স্টেশনটিকে কেন্দ্র করে। 

আড়িয়াল বিলে ভবিষ্যতে বিমানবন্দর হলে এই স্টেশনের গুরুত্ব আরও বেড়ে যাবে। যেটি ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনকেও ছাপিয়ে যাবে। নিমতলা রেলওয়ে স্টেশনের পাশের এই কন্টেইনার স্টেশন হবে আধুনিক ও বহুমুখী সুবিধা সম্বলিত। এখানে দোতলায় কন্টেইনার ওঠা-নামাসহ পণ্য দ্রুত খালাসে প্রযুক্তি ব্যবহার হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

১ নভেম্বর থেকে বাণিজ্যিকভাবে ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এই নতুন রেলপথের সঙ্গে পুরনো পথে যুক্ত হয়ে খুলনা-ঢাকা ও বেনাপোল-ঢাকা রুটে দুই জোড়া ট্রেন নিয়মিত চলাচল করছে। আগামী বছরের প্রথম দিকেই ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত প্রকল্পের বাকি অংশের কাজ শেষে ঢাকা-যশোর নতুন পথে ট্রেন চালু হলে স্টেশনটির সুফল মিলবে। 

সম্পর্কিত খবর

করোনাঃ ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত প্রায় দ্বিগুণ

gmtnews

এক বছরে খেলাপি ঋণ বাড়ল ২৫ হাজার কোটি টাকা

gmtnews

বিকেলে ঢাকায় আসছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Shopnamoy Pronoy

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত