অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
ক্রিকেট খেলা সর্বশেষ

‘সেরাটা শেষের জন্য জমিয়ে রেখেছিলাম’

প্রথম ম্যাচেই ভারতের কাছে হার ৬ উইকেটে, পরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হার ১৩৪ রানে। এমন বাজেভাবে বিশ্বকাপ শুরু করা অস্ট্রেলিয়াই সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩ উইকেটে আর ফাইনালে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন!

অস্ট্রেলিয়ার পঞ্চম অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ জেতা প্যাট কামিন্স হাসতে হাসতেই বললেন, ‘সেরাটা শেষের জন্য জমিয়ে রেখেছিলাম।’ অস্ট্রেলিয়ার এই শেষের জন্য সেরা জমিয়ে রাখার বড় উদাহরণ কামিন্স নিজেই। লিগ পর্বের ৯ ম্যাচের তিনটিতে কোনো উইকেটই পাননি, সেরা বোলিং ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ২ উইকেট।

৯ ম্যাচে ১০ উইকেট পাওয়া সেই কামিন্সই সেমিফাইনালে নিয়েছেন ৫১ রানে ৩ উইকেট, ফাইনালে ৩৪ রানে ২ উইকেট। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে ১০ ওভার বল করে একটিও বাউন্ডারি হজম করেননি। এবারের বিশ্বকাপে পুরো ১০ ওভার বোলিং করে একটি বাউন্ডারি হজম না করা বোলার আছেন আটজন, কিন্তু কামিন্সই পেসারদের মধ্যে প্রথম।

ব্যক্তি ছাড়িয়ে দলে চোখ রাখলে অস্ট্রেলিয়ার ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পটা আরও রোমাঞ্চকর। অস্ট্রেলিয়া সর্বশেষ বিশ্বকাপ জিতেছিল ২০১৫ সালে মাইকেল ক্লার্কের নেতৃত্বে। সেই ক্লার্কই প্রথম দুই ম্যাচে বাজে হারের পর বলেছিলেন, ‘এভাবে খেললে অস্ট্রেলিয়া হাসির পাত্রে পরিণত হবে।’

কাল বিশ্বকাপ জয়ের পর কামিন্সকে জিজ্ঞেস করা হয়, প্রথম দুই ম্যাচে হারার পর দলকে কী বার্তা দিয়েছিলেন? অস্ট্রেলিয়ার নতুন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক জবাবে যা বলেন, তা চিরায়ত অস্ট্রেলীয় চরিত্রেরই বহিঃপ্রকাশ, ‘বলেছিলাম আমাদেরকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে এবং বিশ্বকাপ জিততে হবে। আর সেটার জন্য অপেক্ষা করার সময় নাই। আমাদের সাহসী হতে হবে, এখান থেকেই সেটা শুরু করতে হবে।’

লিগ পর্বে টানা সাত ম্যাচ জিতে তৃতীয় হয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় অস্ট্রেলিয়া। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩ উইকেটে হারিয়ে আহমেদাবাদের শিরোপা নির্ধারণীতে। লাখো দর্শকে ভরা গ্যালারির সামনে টসে জিতে ফিল্ডিংটাই বেছে নেন কামিন্স। কেন, সেই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কামিন্স বলেন, ‘পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে বেশির ভাগই আগে ব্যাট করেছি। আজ মনে হয়েছে রান তাড়া করলেই ভালো হবে। পরে ব্যাটিং সহজ হবে।’

কামিন্সের ধারণা ছিল, ভারতকে ৩০০ রানের নিচে থামিয়ে দিতে পারলে সফলভাবে তাড়া করা সম্ভব। কিন্তু তিনি এবং তাঁর বোলাররা রোহিত শর্মাদের আটকে দেন ২৪০ রানে। এরপর মারনাস লাবুশেন ও ট্রাভিস হেডের ১৯২ রানের জুটি তাদের নিয়ে যায় জয়ের বন্দরেও। ৪২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের দারুণ জয়ের পর তাই কামিন্স সহাস্যেই বলে ওঠেন, ‘আমার মনে হয়, সেরাটা শেষের জন্যই জমা রেখেছিলাম। বড় ম্যাচগুলোতে কয়েকজনই ভালো অবদান রাখল, যেটা আমাদের এগিয়ে দিল।’

সম্পর্কিত খবর

কাজ শুরুর অপেক্ষায় বে-টার্মিনাল

Zayed Nahin

বাংলাদেশ নিয়ে শিক্ষার্থীদের স্বপ্নকে সত্য করতে সহায়তা করব: ড. ইউনূস

gmtnews

সেমিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল? উত্তরে যা বললেন শান্ত

gmtnews

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত