দেশে দেশে শ্রমিকের ক্ষমতায়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং শ্রম পরিবেশের উন্নয়নে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশনা অনুসারে প্রথমবারের মতো এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, সরবরাহ–ব্যবস্থার অভিঘাত সহনশীলতা বৃদ্ধি এবং আমেরিকান শ্রমিক ও কোম্পানিগুলোর জন্য সমান ক্ষেত্র প্রস্তুতে শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা গুরুত্বপূর্ণ।
এ ক্ষেত্রে বৈশ্বিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই পদক্ষেপে নিজ দেশে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের যে নীতি রয়েছে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অন্য দেশগুলোতে শ্রমিকের ক্ষমতায়ন ও শ্রমিক ইউনিয়নগুলোকে এগিয়ে নেওয়া হবে। প্রেসিডেন্টের নির্দেশনায় প্রথমবারের মতো মিশনগুলোর প্রধান ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের শ্রম কূটনীতিতে যুক্ত হতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি শ্রমিক ও শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কর্মসূচি প্রণয়ন ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র দপ্তর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রমিকের অধিকারগুলো এগিয়ে নিতে যেসব পদক্ষেপ নেবে, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অংশীদারেরা যুক্ত থাকবে।
পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, বৈশ্বিকভাবে শ্রম পরিবেশের উন্নয়নে প্রেসিডেন্টের ওই নির্দেশনা এসেছে। এখানে বৈদেশিক সহায়তা ও কর্মসূচি প্রণয়ন, আইন প্রয়োগ, বৈশ্বিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং এ–সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা ও প্রতিশ্রুতির বিষয়গুলো এখানে যুক্ত থাকবে।