অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ সর্বশেষ

গণতন্ত্রের মানদণ্ড হচ্ছে নিরাপদ সাংবাদিকতা: মেয়র আরিফ

একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিকরা সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন মন্তব্য করে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, যেকোনো দেশের গণতন্ত্রের মানদণ্ড হচ্ছে নিরাপদ সাংবাদিকতা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানেও সংবাদমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু গণমাধ্যমের যদি স্বাধীনতা না থাকে, সাংবাদিকতায় যদি নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে গণতন্ত্র মূল্যহীন হয়ে পড়ে।

 

সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিলেট নগরের একটি অভিজাত হোটেলে ‘ইলেকশন রিপোর্টিংয়ের’ ওপর তিন দিনব্যাপী সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা সমাপনী ও সনদপত্র দেওয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আরিফ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সাংবাদিকদের ঐক্য ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা একসঙ্গে চললে সিলেটের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে। সিলেটে রাজনৈতিক সম্প্রীতি রয়েছে। এখানে সাংবাদিকদেরও অধিকতর ঐক্য প্রয়োজন।

সাংবাদিক প্রশিক্ষণ আয়োজনের প্রশংসা করে মেয়র আরিফ এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের অুনরোধ করেন।

সমাপনী বক্তব্যে নিউজ নেটওয়ার্কের সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী মুক্তিযোদ্ধা শহিদুজ্জামান বলেন, নিউজ নেটওয়ার্ক দীর্ঘ বছর ধরে সাংবাদিকতার গুণগত পরিবর্তন ও সাংবাদিকদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে। এটা কেবলই দেশের প্রতি দায়বদ্ধতার প্রকাশ।

নিউজ নেটওয়ার্কের সিলেট কো-অর্ডিনেটর মুকতাবিস-উন-নূর এর সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য দেন তিনব্যাপী কর্মশালার প্রশিক্ষক আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এপির বাংলাদেশ প্রধান জুলহাস আলম।

প্রশিক্ষণার্থী সাংবাদিকদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন খালেদ আহমদ ও শাকিলা ববি।
এ সময় নিউজ নেটওয়ার্কের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট রেজাউল করিম ও ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর জিয়াউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

প্রশিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সেশন, অংশ নেওয়া সাংবাদিকদের গ্রুপ ওয়ার্ক ও প্রশ্নোত্তরে শেষ দিনটিও ছিল মুখর ও প্রাণবন্ত।

তিন দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ইলেকশন রিপোর্টিংয়ের ওপর টানা প্রশিক্ষণ দেন এপির বাংলাদেশ প্রধান জুলহাস আলম। একাডেমিক ডিসকাশন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার বিভিন্ন অভিজ্ঞতার বর্ণনা, গ্রুপ ওয়ার্কসহ তার বিভিন্ন সেশন ছিল স্বতঃস্ফূর্ত।

মিস ইনফরমেশন, ডিস ইনফরমেশন, মেল ইনফরমেশন, ও সাইবার নিরাপত্তা আইন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন নিউজ নেটওয়ার্কের ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর জিয়াউর রহমান।

ডিজিটাল হাইজিন, ফ্যাক্ট চেকিং অ্যান্ড ভেরিফিকেশন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন ইন্টার নিউজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যান্ড কনটেন্ট স্পেশালিস্ট রায়হান মাসুদ।

সাংবাদিকদের কোড অব কন্ডাক্ট, ফিজিক্যাল সেফটিসহ বিষয়ে নলেজ শেয়ারিং করেন সাংবাদিক আহবাব মোস্তফা খান।

প্রশিক্ষণে সিলেটে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ২০ জন সাংবাদিক অংশ নেন। তারা হলেন- প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার মানাউবি সিংহ, কালের কণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার ইয়াহইয়া ফজল, ইন্ডেপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সিলেট ব্যুরো প্রধান মঞ্জুর আহমদ, ভোরের কাগজের সিলেট জেলা প্রতিনিধি খালেদ আহমদ, বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট মো. নাসির উদ্দিন, দৈনিক একাত্তরের কথার চিফ রিপোর্টার মিসবাহ উদ্দিন আহমদ, দৈনিক সিলেটের ডাক’র সিনিয়র রিপোর্টার নুর আহমদ, দৈনিক জালালাবাদের সিনিয়র রিপোর্টার মুনশী ইকবাল ও এমজেএইচ জামিল, দৈনিক উত্তরপূর্বে যুগ্ম বার্তা সম্পাদক মনিকা ইসলাম, দৈনিক কাজিরবাজার পত্রিকার প্রধান বার্তা সম্পাদক রেহানা পারভিন মুক্তা, দৈনিক আমার কাগজের সিলেট ব্যুরো প্রধান খালেদ আহমদ, জিটিভির সিলেট প্রতিনিধি বিলকিস আক্তার সুমি, আরটিভির সিলেট প্রতিনিধি হাসান মোহাম্মদ শামীম, নিউ নেশনের সিলেট প্রতিনিধি শফিক আহমদ শফি, দৈনিক সিলেট মিরের স্টাফ রিপোর্টার মামুন পারভেজ, দৈনিক সিলেট বাণীর স্টাফ রিপোর্টার আবু বকর সিদ্দিক, নয়া দিগন্তের সিলেট ব্যুরো প্রধান এটিএম তুরাব, দৈনিক জৈন্তবার্তার স্টাফ রিপোর্টার শাকিলা ববি ও সিলেট ভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকমের সিনিয়র রিপোর্টার রফিকুল ইসলাম কামাল।

সম্পর্কিত খবর

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দাবদাহ: সুস্থ থাকার উপায়

gmtnews

সিরিয়ায় ইরান-সংশ্লিষ্ট অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা

Hamid Ramim

দনবাস লড়াইয়ের ফলাফল যুদ্ধের গতিপথ নির্দেশ করবে: জেলেনস্কি

gmtnews

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত