পবিত্র কুরআন অবমাননায় পশ্চিমাদের তিরস্কার করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ মুসলিম নেতারা। একই সঙ্গে বাকস্বাধীনতা রক্ষার নামে এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ভাষণে মুসলিম নেতারা কুরআন অবমাননার নিন্দা জানান। খবর আল-আরাবিয়ার।
সম্প্রতি সুইডেনে কয়েক দফায় পবিত্র কুরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। এতে মুসলিম বিশ্বের প্রতিবাদের মুখে এসব ঘটনার নিন্দা জানালেও দেশটির সরকারের দাবি, স্বাধীন মতপ্রকাশের আইনের অধীনে তা বন্ধ করা সম্ভব নয়।
কুর্দি কর্মীদের স্বাগত জানানোর জন্য সুইডেনের ওপর কয়েক মাস ধরে চাপ সৃষ্টি করে আসা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো ইসলামোফোবিয়াসহ বর্ণবাদকে উসকে দিচ্ছে, যা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, অনেক দেশের পপুলিস্ট রাজনীতিবিদরা এ ধরনের বিপজ্জনক প্রবণতাকে উৎসাহিত করে আগুন নিয়ে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এরদোগান আরও বলেন, ‘যে মানসিকতা ইউরোপে বাকস্বাধীনতার ছদ্মবেশে পবিত্র কুরআনের বিরুদ্ধে জঘন্য আক্রমণকে উৎসাহিত করে, তা মূলত নিজের হাতেই (ইউরোপ) নিজের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে দিচ্ছে।’
এদিকে জাতিসংঘের অধিবেশনে কুরআন হাতে নিয়ে পবিত্র এই গ্রন্থ অবমাননার নিন্দা জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। বাকস্বাধীনতার অজুহাতে পশ্চিমারা সবার মনোযোগ অন্যদিকে সরাতে চাইছে উল্লেখ করে রাইসি বলেন, ‘অসম্মানের আগুন ঐশ্বরিক সত্যকে আড়াল করতে পারবে না।’
তিনি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোতে ইসলামোফোবিয়া এবং সাংস্কৃতিক বর্ণবৈষম্য দেখা যাচ্ছে। পবিত্র কুরআন অবমাননা থেকে শুরু করে স্কুলে হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যান্য অনেক শোচনীয় বৈষম্য মানব মর্যাদা ক্ষুণ্ন করছে।
এ সময় ফ্রান্সের প্রতি ইঙ্গিত করে সমালোচনা করেন রাইসি। কারণ দেশটিতে বিতর্কিতভাবে মুসলিম মেয়েদের স্কুলে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পশ্চিমা এবং একই সঙ্গে ইসলামি বিশ্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি তার বক্তৃতায় বলেছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যের পবিত্রতার (ধর্মীয়) সঙ্গে আপস করাকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হিসেবে দেখা উচিত নয়।