চোটের ঝুঁকি এড়াতে আটলান্টার বিপক্ষে লিওনেল মেসির না খেলার বিষয়টি আগেই জানা গিয়েছিল। মেসিকে ছাড়া আগের ম্যাচে জিতেছিল ইন্টার মায়ামি। কিন্তু এবার আর পারেনি। এমএলএসের ম্যাচে আটলান্টার কাছে ৫-২ গোলে উড়ে গেছে মেসিবিহীন ইন্টার মায়ামি। এই হারে ইন্টার মায়ামির প্লে-অফ খেলার স্বপ্নেও বড় ধাক্কা লেগেছে। মেসি ক্লাবে যোগ দেওয়ার পর গত দুই মাসে ১২ ম্যাচের মধ্যে এটি ইন্টার মায়ামির প্রথম হার।
এই হারের পর ২৭ ম্যাচে ৯ জয়, ৪ ড্র এবং ১৫ হার নিয়ে ১৫ দলের তালিকায় ১৪ নম্বরে আছে ইন্টার মায়ামি। তাদের নিচে আছে শুধু এফসি টরন্টো, যাদের পয়েন্ট ২৫। এই হারে প্লে-অফ অবস্থানের সঙ্গেও ব্যবধানটা আরও বাড়ল। ৯ নম্বরে থাকা ডিসি ইউনাইটেডের পয়েন্ট ৩৭। মায়ামির হাতে এখন ৭ ম্যাচ আছে। এই ৭ ম্যাচ থেকে প্লে-অফে খেলার প্রয়োজনীয় পয়েন্ট আদায় কঠিনই হবে তাদের জন্য।
এর আগে মেসিকে খেলানোর জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথা বলেছিলেন মায়ামি কোচ জেরার্দো মার্তিনো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি স্বস্তি বোধ না করায় মেসিকে ছাড়াই স্কোয়াড সাজাতে হয় তাঁকে। ইস্ট কনফারেন্সের অন্যতম সেরা দল আটলান্টার বিপক্ষে মেসিকে ছাড়া খেলাটা আগে থেকেই বেশ চ্যালেঞ্জিংই মনে হচ্ছিল; যদিও ইন্টার মায়ামির শুরুটা আশা–জাগানিয়া ছিল। ২৫ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন ছন্দে থাকা লিওনার্দো কাম্পানা। এরপরই যেন পথ হারায় ফ্লোরিডার ক্লাবটি। বিরতিতে যাওয়ার আগেই হজম করে বসে তিন গোল।
বিরতি থেকে ফিরে পেনাল্টি থেকে এক গোল শোধ করে ম্যাচে ফেরার আশা জাগান কাম্পানা। কিন্তু সেই আশাকে আর বাস্তবতায় রূপ দিতে পারেনি মার্তিনোর দল। উল্টো ৭৬ ও ৮৯ মিনিটে আরও দুই গোল হজম করে তারা।এই হারের পর কৃত্রিম ঘাস হওয়ায় মেসি আটলান্টার মাঠে খেলা থেকে বিরত ছিলেন কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরও দিতে হয়েছে মার্তিনোকে। তবে মেসির না খেলার সঙ্গে মাঠের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন মায়ামি কোচ, ‘মেসির না খেলার সঙ্গে কৃত্রিম ঘাসের মাঠের কোনো সম্পর্ক নেই। আলবা ও মেসি মাংসপেশির চোটে ভুগছে। তাদের বিশ্রাম দেওয়া জরুরি ছিল।
দ্রুতই মেসি ও আলবা মাঠে ফিরবেন বলেও আশ্বস্ত করেছেন মার্তিনো, ‘তারা আগামীকাল অনুশীলনে ফিরবে। আমরা প্রতিদিন তাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করব। মেসির অনুশীলনের ব্যাপারে কোনো কিছু বদলাব না। আমাদের কোনো তাড়া নেই।’
মেসি নিজে না চাওয়া পর্যন্ত তাঁকে খেলাবেন না জানিয়ে মায়ামি কোচ বলেছেন, ‘যদি সে ভালো বোধ করে এবং আত্মবিশ্বাসী থাকে, তাহলেই তাকে খেলানো হবে। যদি তা না হয়, আরও কয়েক দিন আমরা অপেক্ষা করব।’
মেসিকে ছাড়া এই হার যে ইন্টার মায়ামির জন্য বড় ধাক্কা, তা–ও মেনে নিয়েছেন মায়ামি কোচ, ‘এই হার আমাদের বড় ধাক্কা দিয়েছে। আমাদের সম্ভাবনা কমিয়েছে। কিন্তু এটা এখনো চূড়ান্ত নয়। আমরা অনেক পেছনে থেকে প্লে-অফের দৌড় শুরু করেছি। আমরা হাল ছেড়ে দেব না। কিন্তু আমাদের দৃষ্টি এখন ২৭ তারিখে (ইউএস ওপেন কাপ ফাইনাল)।’