২০০০ সালের কপিরাইট আইন রহিত করে নতুন এই আইনটি করা হলো।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সংসদে কপিরাইট বিল, ২০২৩’ পাসের জন্য প্রস্তাব করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
বিলের ওপর আনা বাছাই কমিটিতে প্রেরণ, জনমত যাচাই ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস করা হয়। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
এ বিলে প্রকাশনা, চলচ্চিত্র, ডিজিটাল কাজ, নাটক, লোককাহিনি, শিল্পকলা এবং অডিও রেকর্ডিংয়ের মৌলিক কাজের অধিকার রক্ষার কথা বলা হয়েছে।
বিলে অজ্ঞাতপরিচয় বা ছদ্মনামীয় কর্মের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘একক বা যৌথভাবে রচিত ও ছদ্মনামে প্রকাশিত কোনো কর্মের ক্ষেত্রে প্রণেতার পরিচয় প্রকাশ হওয়ার আগপর্যন্ত প্রকাশক কর্তৃক জনসাধারণ্যে প্রকাশিত প্রণেতা অথবা তার আইনানুগ প্রতিনিধি। ’ বিলে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক ডিজিটাল কর্মের সংজ্ঞাও নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সৃজনশীলতা ও সংস্কৃতির মাধ্যমে যে মেধাসম্পদ তৈরি হয়, তার আইনগত স্বীকৃতি ও সুরক্ষার জন্য কপিরাইট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
গত দুই দশকে প্রযুক্তির অসামান্য উন্নতির প্রেক্ষাপটে মেধাস্বত্বের ব্যবহার ও প্রযুক্তিনির্ভরতা বহুগুণ বেড়েছে এবং পাইরেসি বাড়ার কারণে মেধাসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও সুরক্ষায় বিদ্যমান কপিরাইটের অধিকতর সংশোধন করা প্রয়োজন হওয়ায় বিলটি আনা হয়েছে।