উত্তরপূর্ব আফ্রিকার দেশ সুদানের রাজধানীতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এতে ৪৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫৫ জন।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ৭টার দিকে কুরো মার্কেট এলাকায় এ বিমান হামলা চালানো হয়।
রাজধানীতে সুদানের সেনাবাহিনী এবং র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) আধাসামরিক গোষ্ঠীর মধ্যে প্রচণ্ড লড়াইয়ের মধ্যে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সুদানের লোকাল অ্যাসিসটেন্ট কমিটি হামলার জন্য দেশটির বিমানবাহিনীকে দায়ী করেছে। নিহতের সংখ্যা ৪০ জন বলছে তারা।
এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে সামরিক বিমান কুরো মার্কেট এলাকায় বোমা হামলা চালায়। কুরো মার্কেট গণহত্যার মৃতের সংখ্যা ৪০ জনে পৌঁছেছে। ’
ইমার্জেন্সি রুম অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপও বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪০ জন বলেছিল।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি মেডিকেল গ্রুপের মতে, রোববার সুদানের রাজধানী খার্তুমের একটি বাজারে বিমান হামলায় কমপক্ষে ৪৩ জন নিহত হয়েছেন।
একটি বিবৃতিতে সুদানের ডাক্তার সিন্ডিকেট বলেছে, দক্ষিণ খার্তুমের মায়ো পাড়ায় একটি খোলা বাজারকে লক্ষ্য করে হামলায় ৫৫ জন আহত হয়েছে।
বিমান হামলার পেছনে কারা ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরএসএফ ওই বিমান হামলার জন্য সুদানের সেনাবাহিনীকে অভিযুক্ত করেছে।
তবে সুদানের সেনাবাহিনী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দাবিটিকে ‘বিভ্রান্তিকর’ এবং ‘মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেছে।
গত এপ্রিলে সুদানের সেনাপ্রধান আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের (আরএসএফ) প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগলো মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দেয়। এরপর দুই বাহিনী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এই বাহিনীর লড়াইয়ের মাঝে পড়ে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। রোববারের এ বিমান হামলাটি দ্বন্দ্ব শুরু হওয়ার পর বেসামরিকদের ওপর সবচেয়ে বড় বিমান হামলার ঘটনা।
বিভিন্ন সূত্র ও তথ্য অনুযায়ী, ১৫ এপ্রিলের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। তবে স্থানীয়দের আশঙ্কা এ সংখ্যা আরও অনেক বেশি।
সূত্র: এএফপি, আনাদোলু