ঢাকা: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের সাধারণ জনগণের কাছে ওয়াদা ছিল, আমরা তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করব। এটা করতে গিয়ে আমাদের সারা দেশ বিদ্যুতের আওতায় আনতে হয়েছে।প্রচুর শিল্পায়ন করতে হয়েছে। এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে জলবায়ুতে।
শুক্রবার (০৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বনানী শেরাটন হোটেলে আয়োজিত আঞ্চলিক জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে মূল নিবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ১০-১৫ বছর আগে ঢাকা শহরের ৬০ ভাগের বেশি লোক পর্যাপ্ত পানি পেত না। এখন শতভাগ মানুষ পানি পাচ্ছে। পাশাপাশি কারখানাগুলোতেও প্রচুর পানি দরকার হচ্ছে। এজন্য আমাদের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করতে হয়েছে। এটা করতে গিয়ে তার প্রভাব পড়েছে জলবায়ুতে৷
তিনি বলেন, বাংলাদেশের যখন স্বাধীন দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু হয়, তখন আমাদের অবস্থা শোচনীয় ছিল। আমাদের জনগণের দারিদ্রের কারণে খুব স্বাভাবিকভাবেই জলবায়ু পরিবর্তন বা এই ধরনের বিষয়গুলো নিয়ে কিছুই জানত না। ১৯৯৬ সালে আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন মাথাপিছু আয় ছিল ৩২৯ মার্কিন ডলার। এর থেকে বোঝা যায়, সে সময়ে অবস্থা কেমন ছিল।
তিনি আরও বলেন, এই সময়ের মধ্যে যখন ২০০৯ সালে আবার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসেন, তখন মাথাপিছু আয় ছিল ৭০০ ডলারের কাছাকাছি। বর্তমানে যেটি বেড়ে হয়েছে দুই হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলার হয়েছে। কারণ, আমাদের এটা ওয়াদা ছিল।
তাজুল ইসলাম বলেন, কৃষিখাতে জিডিপি বাড়ার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। আর এজন্য পুরোনো কৃষি পদ্ধতির পরিবর্তে এই খাতে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করায় এটি সম্ভব হয়েছে৷ এজন্য কিছু চ্যালেঞ্জ এসেছে। অবশ্যই জলবায়ুর ওপর প্রভাব পড়েছে। কারণ কার্বন নিঃসরণ ও হেভি মেটাল। পাশাপাশি, এটা করতে গিয়ে আমাদের বিদ্যুৎখাতে সক্ষমতা বাড়াতে হয়েছে। এসব কারণেই জলবায়ুতে প্রভাব পড়েছে৷
তিনি বলেন, আমরা এমডিজি বাস্তবায়ন করেছি। এসডিজি (সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল) বাস্তবায়নের যাত্রা শুরু হয়েছে ২০১৫ সাল থেকে। একই সময়ে আমাদের সামনে লক্ষ্য হচ্ছে, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলা। এই সময়ের মধ্যে আমাদের ওয়াদা এবং মানুষের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে আমরা ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ নিয়েছি। ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী যখন নেদারল্যান্ডস সফর করেন, আমরাও যেহেতু মনে করি ওয়াটার ম্যানেজমেন্টে নেদারল্যান্ডস পুরোপুরি সফল একটি দেশ, তাই আমরা চিন্তা করেছি তারাও ডেল্টা প্ল্যানিংয়ের দেশ, আমরাও ডেল্টা প্ল্যানিং নিয়েছি। নেদারল্যান্ডস এবং আমাদের মধ্যে অনেক বিষয়ে মিল আছে। ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে তারা আমাদের সহায়তা করবে।