জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে দূরপাল্লার হানিফ পরিবহনের একটি বাসের চালকসহ তিনজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে লোকাল বাসের কয়েকজন চালক ও সহকারীদের বিরুদ্ধে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে হানিফ পরিবহনের আহত চালক, সুপারভাইজার ও সহকারীকে উদ্ধার করে।
প্রায় এক ঘণ্টা পর বিকল্প চালক দিয়ে বাস গন্তব্যে ছেড়ে যায়।
আগের ঘটনার জেরে বুধবার (০৬ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৮টায় জয়পুরহাট-মোকামতলা আঞ্চলিক মহাসড়কের ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার ব্যক্তিরা হলেন- হানিফ পরিবহনের বাসের চালক নওগাঁর বদলগাছির ভান্ডারপুর গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে মিন্টু (৩৪), সুপারভাইজার দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার মুখরিয়া গ্রামের মোকলেছার রহমানের ছেলে মানিক মিয়া (২৪) ও সহকারী টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পোড়া বাড়ির প্রয়াত ফজলুল খানের ছেলে কাউছার হোসেন (২৪)।
হানিফ পরিবহনের চালকের সহকারী কাউছার হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে আসার পথে বগুড়ার মাটিডালী এলাকায় একটি লোকাল বাস আমাদের গাড়িটিকে সাইড দিচ্ছিল না। ওই বাসটি কখনো ডান সাইড কখনও বাম সাইড চাপাচ্ছিল। এ নিয়ে লোকাল বাসের চালক সহকারীর সঙ্গে বাগ-বিতণ্ডা হয়। এরপর লোকাল বাসটি চলে যায়। আমরাও চলে এসেছি।
পথে বটতলী বাজারে আসার পর কিছু লোকজন আমাদের বাসটি আটকিয়ে ভেতর ঢুকে চালক, সুপারভাইজার ও আমাকে বেধড়ক মারধর করে নিচে নামায়। এরপর তারা আমাদের বটতলী বাজারের শ্রমিক কার্যালয়ে ধরে নিয়ে যায়। সেখানেও তারা আমাদের মারধর করে। পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে। প্রায় এক ঘণ্টা পর বিকল্প চালক দিয়ে আমাদের হানিফ পরিবহনের বাসটি হিলির উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। এ ঘটনায় তারা মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানার পরির্দশক (তদন্ত) এম, ইমায়েদুল জাহেদী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বগুড়ার মাটিডালী এলাকায় হানিফ পরিবহনের বাসের স্টাফদের সঙ্গে লোকাল একটি বাসের স্টাফদের ঝামেলা হয়। ওই লোকাল বাসের স্টাফদের বাড়ি বটতলী এলাকায়। ওই ঘটনার জেরে বটতলী বাজারে হানিফ পরিবহনের বাস আটকিয়ে চালক, সুপারভাইজার ও সহকারীকে মারধর করা হয়েছে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করার পর বিকল্প চালক দিয়ে হানিফ পরিবহনের বাসটি গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।