অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ রাজনীতি সর্বশেষ

শেখ হাসিনাকে চাপ দিতে পারে, এমন কোনো চাপ নেই: প্রধানমন্ত্রী

সরকার তরুণদের দক্ষ কর্মশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি কখনোই কোনো বিদেশি চাপের কাছে মাথা নত করবেন না। তাঁকে চাপ দিতে পারে, এমন কোনো চাপ নেই। কারণ, তাঁর শক্তি জনগণ। আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। সাম্প্রতিক কাতার সফর নিয়ে সোমবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী কাতার সফরের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। এরপর তিনি রাজনীতি, অর্থনীতি, সংসদ নির্বাচন, কূটনীতিসহ নানা বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব  বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম প্রশ্ন করেন, নির্বাচন সামনে এলেই কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়। কিছুদিন আগে আপনার দলের সাধারণ সম্পাদকের কাছে কিছু কূটনীতিক এসেছিলেন। গতকাল (রোববার) বিএনপি কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। তারা কূটনীতিকদের বলেছে, আপনার অধীনে ভোটে যাবে না। আরেকটা প্রশ্ন, নোবেলজয়ী ভাড়া করে বিবৃতি দিয়েছেন। সবকিছু মিলিয়ে নির্বাচন সামনে রেখে আন্তর্জাতিক চাপ অনুভব করছেন কি না জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের একটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে যে শেখ হাসিনাকে চাপ দিতে পারে, এমন কোনো চাপ নেই। কারণ, আমার শক্তি একমাত্র আমার জনগণ। ওপরে আল্লাহ আছেন। আর বাবার আশীর্বাদের হাত আমার মাথায় আছে। কাজেই কে কী চাপ দিল না দিল, তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। জনগণের স্বার্থে যেটা করা দরকার, আমরা সেটাই করব। এ রকম বহু চাপ তো ছিল। পদ্মা সেতুর আগে তো কম চাপ দেওয়া হয়নি। ওই চাপে আমাদের কিছু আসে যায় না। শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ৪০ বিশ্বনেতার দেওয়া খোলাচিঠি নিয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবাদ সম্মেলনে ইউএনবির সম্পাদক ফরিদ হোসেন প্রশ্ন করেন, ‘আপনি যখন কাতারে ছিলেন, তখন ৪০ জন বিদেশি নাগরিকের একটি বিবৃতি বা আপিল করেছে, সেটা আপনি পেয়েছেন কি না জানতে চাই। সেটা ওয়াশিংটন পোস্টে বিজ্ঞাপন হিসেবেও প্রকাশিত হয়েছে। এই বিবৃতি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য আশা করছি।’ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনীতি, অর্থনীতি, সংসদ নির্বাচন, কূটনীতিসহ নানা বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন: পিআইডি জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি একটা ভুল করছেন, সেটা ঠিক বিবৃতি না। এটা একটা অ্যাডভার্টাইজমেন্ট (বিজ্ঞাপন)। ৪০ জনের নাম ব্যবহার করা হয়েছে, সেটা আমাদের বিশেষ একজন ব্যক্তির পক্ষে। এর উত্তর কী দেব জানি না। তবে আমার একটা প্রশ্ন আছে, সেটা হলো যিনি এত নামীদামি, নোবেল প্রাইজপ্রাপ্ত, তাঁর জন্য এই ৪০ জনের নাম খয়রাত করে এনে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট দিতে হবে কেন? তা–ও আবার বিদেশি পত্রিকায়। প্রজ্ঞাপন কেন দিতে হলো?’ দেশে কতগুলো আইন আছে, সে অনুযায়ী সব চলে এবং চলবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন। আমরা শ্রমিকদের অধিকার সংরক্ষণ করি। যারা ট্যাক্স ঠিকমতো দেয়, সেটা আলাদা বিভাগ আছে, ট্যাক্স আদায় করে। কেউ যদি এখন এ সমস্ত বিষয়ে কোনো রকম আইন ভঙ্গ করে বা শ্রমিকদের কোনো অধিকার কেড়ে নেয়, শ্রম আদালত আছে, সেটা দেখে। এ ক্ষেত্রে আমার তো কিছু করার নেই সরকারপ্রধান হিসেবে। কাজেই এখানে আমাকেই–বা কেন বলা হলো। এর বাইরে আমি আর কী বলব। পদ্মা সেতু কিন্তু করে ফেলেছি। খালি এটুকু সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিলাম।’ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ না করার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  সময় টেলিভিশনের সহযোগী বিশেষ প্রতিনিধি দেবাশীষ রায় প্রশ্ন করেন, মাঠে এখনো বলা হচ্ছে আপনি আবারও সংলাপ করবেন। হয়তোবা রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে বসবেন। আপনার জোট নিয়ে যে পরিকল্পনা বা আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেগুলো নিয়ে কোনো ধারণা দেবেন কি না? জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংলাপ কার সঙ্গে করব? হ্যাঁ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমি সংলাপ করেছি। তার ফল কী? নির্বাচনটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ছাড়া আর কিছুই করেনি। ৩০০ আসনে ৭০০ মনোনয়ন দিয়ে টাকা খেয়ে নিজেরাই নিজেদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে, তারপর নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি একটা ভুল করছেন, সেটা ঠিক বিবৃতি না। এটা একটা অ্যাডভার্টাইজমেন্ট (বিজ্ঞাপন)। ৪০ জনের নাম ব্যবহার করা হয়েছে, সেটা আমাদের বিশেষ একজন ব্যক্তির পক্ষে। এর উত্তর কী দেব জানি না। তবে আমার একটা প্রশ্ন আছে, সেটা হলো যিনি এত নামীদামি, নোবেল প্রাইজপ্রাপ্ত, তাঁর জন্য এই ৪০ জনের নাম খয়রাত করে এনে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট দিতে হবে কেন? তা–ও আবার বিদেশি পত্রিকায়। প্রজ্ঞাপন কেন দিতে হলো? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আল্লাহ আমাকে ধৈর্য দিয়েছেন, সহ্যশক্তি দিয়েছেন। নইলে ১৫ আগস্ট আমার বাবা–মার হত্যাকারী, গ্রেনেড হামলা করে আমাকে হত্যার চেষ্টা, বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা যারা করেছে, আমি তাদের সাথেও বসেছি শুধু দেশের স্বার্থে। শুধু তাই না, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে মারা গেল। আমি গেলাম একজন সন্তানহারা মাকে সহানুভূতি জানাতে। আমাকে কীভাবে অপমানটা করল। এত অপমানের পরও তাদের সাথে আবার কিসের বৈঠক?’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ পারবেন আপনার বাবা–মার হত্যাকারীর সাথে বসে বৈঠক করতে? আপনাকে কেউ যদি এভাবে অপমান করে, আপনারা পারবেন? কে পারবে? যেটুকু সহ্য করেছি শুধু দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে; নিজের স্বার্থে নয়।’ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসায় থাকা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারপরও তো অসুস্থ বয়োবৃদ্ধ…। তাঁর বোন এসে, ভাই এসে, বোনের জামাই সবাই এসে যখন আমার আর রেহানার (শেখ রেহানা) কাছে এসে আকুতি করল…। হ্যাঁ, তার (খালেদা) সাজা স্থগিত করে বাসায় থাকা এবং চিকিৎসার সুযোগটা করে দিয়েছি। এটুকু যে করেছি, সেটাই যথেষ্ট। যারা বারবার আমাদের হত্যা করে, অপমান করে…। সারা দেশে কাকে না অপমান করেছে। তারপরও যে এটুকু সহানুভূতি পাচ্ছে, সেটা শুধু আমার কারণে।’ ‘নইলে এদের সাথে কিসের বৈঠক, কিসের কী। আর কী ক্ষমতা তাদের আছে। সন্ত্রাস করা ছাড়া তো আর কোনো ক্ষমতা নেই’, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

 

সম্পর্কিত খবর

প্রত্যেক উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী

gmtnews

ব্যথায় জর্জর ম্যাক্সওয়েল উঠে যেতে চেয়েছিলেন মাঠ থেকে

Shopnamoy Pronoy

ভাসানচর নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে চুক্তি আজ

gmtnews

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত