সমাবেশের নামে বিএনপি-জামায়াত যাতে কোনো ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের সব জায়গায় সতর্ক পাহারায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অগ্নি–সন্ত্রাসীদের থেকে মানুষকে বাঁচাতে হবে। জানমাল নিরাপদ রাখতে হবে। এরা জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক, সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষক। প্রস্তুত হয়ে যান। আগামীকাল থেকে পাড়া-মহল্লা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা—সব জায়গায় সতর্ক পাহারা বসাতে হবে। ওবায়দুল কাদের আজ মঙ্গলবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনে এ কথা বলেন। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ডিসেম্বরে খেলা হবে বিএনপির বিরুদ্ধে, ভুয়া ভোটার তালিকার বিরুদ্ধে ও আগুন–সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। আপনারা প্রস্তুত হয়ে যান। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ১৩ বছরে যারা ১৩ মিনিটও দাঁড়াতে পারে না, তারা নাকি সরকার পতন করবে। বিএনপি ডাকে মহাসমাবেশ, বাস্তবে হয় সমাবেশ। আওয়ামী লীগ ডাকে সমাবেশ, বাস্তবে হয় মহাসমাবেশ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ছাত্রলীগ আমাদের সবুজ কৈশোরের ভালোবাসা। ছাত্রলীগ আমাদের প্রথম প্রেম। শেখ হাসিনার নতুন অঙ্গীকার স্মার্ট বাংলাদেশ। রাজনীতিবিদেরা ভাবেন পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে, আর শেখ হাসিনা পরবর্তী প্রজন্মকে নিয়ে ভাবেন। ১৫ আগস্টের ঘটনা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজ জবাব দিতে হবে যে খুনিদের বিদেশে কে যেতে দিলো? তিনি বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড এই তারেক রহমান। উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনাকে শেষ করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিনি সার্বক্ষণিক দেশের চিন্তা করেন। উনি আমাদের ক্রাইসিস ম্যানেজার। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ঠিক পথে আছেন। দেশে যে উন্নয়ন হচ্ছে, সেটা আজ আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
সম্পর্কিত খবর
- মন্তব্য
- ফেসবুক কমেন্টস