April 2, 2025
অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ রাজনীতি সর্বশেষ

বিএনপির উদ্দেশ্যই দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির উদ্দেশ্যই হচ্ছে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। সে উদ্দেশ্য নিয়েই তারা আন্দোলন আন্দোলন খেলার চেষ্টা করছে। যদিও সেটা জমাতে পারছে না। আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে টেলিভিশন গণমাধ্যমের শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজক ও কুশলীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রচার) খাদিজা বেগম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির নেতারা এর আগে খালেদা জিয়া অসুস্থ, বিদেশ না নিলে মারাই যাবেন বলে জনগণকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু পারেনি। এখন ইউক্রেন যুদ্ধ ও করোনার পরিপ্রেক্ষিতে পৃথিবীময় সংকট চলছে। বাংলাদেশ পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়। এই প্রেক্ষাপটে তারা এখন জনগণকে বিভ্রান্ত করার ও দেশে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। এর চেয়ে বেশি বিশৃঙ্খলা আমরা মোকাবিলা করেছি। ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে তারা (বিএনপি) যা করেছিল, সেগুলো মোকাবিলা করেছি। সুতরাং তাদের এই বিশৃঙ্খলা, হুমকি, আন্দোলন আন্দোলন খেলা মোকাবিলা করা আমাদের কাছে কোনো ব্যাপার নয়।’

এর আগে টেলিভিশন প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তথ্যমন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অভিনয়শিল্পী, নাট্য পরিচালক ও প্রযোজকদের মধ্যে শম্পা রেজা, অরুণা বিশ্বাস, শামস সুমন, সাজ্জাদ হোসেন দোদুল, এস এম কামরুজ্জামান সাগর, নাজনীন হাসান চুমকী, সুমন শামস, প্রসুন বিশ্বাস, আমর শাইখ প্রমুখ। তাঁদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দায়িত্ব দেওয়ার পর সর্বোচ্চ নিষ্ঠা দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি যেন অভিনয়শিল্পীদের ও দেশের টেলিভিশনশিল্পের উন্নয়ন ঘটে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মতো জাতীয় পর্যায়ে টেলিভিশন পুরস্কার প্রবর্তন করা যায় কি না, সেটি নিয়েও মন্ত্রণালয়ে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে।’ তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগে কেব্‌ল নেটওয়ার্কে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর কোনো সিরিয়াল ছিল না। সেখানে একটা শৃঙ্খলা আনতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ টেলিভিশন ভারতবর্ষে দেখানোর চেষ্টা শুরু হয় আজ থেকে ৩০ বছর আগে। কিন্তু তিন দশকেও সেটি সফলতার মুখ দেখেনি। প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব দেওয়ার পর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ডিটিএইচ প্রযুক্তির মাধ্যমে পুরো ভারতবর্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রদর্শন করা হচ্ছে। যেটি একটি মাইলফলক।’

এ সময় হাছান মাহমুদ আরও বলেন, বিটিভির চট্টগ্রাম টেলিভিশন কেন্দ্র এখন সারা দেশে দেখা যায়। স্যাটেলাইট ও অ্যাপসের মাধ্যমে বিটিভি সারা বিশ্বে দেখা যায়। চট্টগ্রাম টেলিভিশন কেন্দ্রে মঞ্চনাটক, স্বরচিত কবিতাপাঠ ও নির্বাচিত কবিতা আবৃত্তির জন্য প্রতি সপ্তাহে একটি কোটা নির্ধারিত আছে, যা আগে কখনো ছিল না।

 

সম্পর্কিত খবর

মিয়ানমারে সুকিকে ৪ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত

gmtnews

বস্তিবাসী শিক্ষার্থীদের বছরে কোটি টাকা বৃত্তি দেওয়া হবে: মেয়র আতিকুল ইসলাম

Zayed Nahin

মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠানো হবে না: সেনাপ্রধান

gmtnews

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত