দেড় বছর বয়সের একটি শিশু যখন হাঁটি হাঁটি পা করে ঘুরে বেড়ায়, সুযোগ পেলেই মুঠোফোনে কার্টুন দেখতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, সেখানে একই বয়সী শিশু ইংরেজি বর্ণমালা বলতে পারা ও দেখে দ্রুত পারাটা অবাক করার বিষয় বটে। তবে সত্যিই এমনটা ঘটেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের শিশু ইসলা ম্যাকনাভ দুই বছর বয়সে হাই-আইকিউ সোসাইটি মেনসাতে সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে নিজের নাম লিখিয়েছে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস জানায়, ২ বছর বয়সী শিশুদের বুদ্ধিমত্তা মাপার স্ট্যানফোর্ড-বিনেত ইন্টেলিজেন্স স্কেলে ইসলা ম্যাকনাভ ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ৯৯ পেয়েছে।
মেনসা হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় উঁচুমাত্রার বুদ্যঙ্ক (বুদ্ধি পরিমাপক) সোসাইটি। এই সোসাইটির সদস্য হতে হলে বুদ্ধিমত্তা পরিমাপক স্কেলে শতকরা ৯৮ স্কোর থাকতে হবে।
ইসলা ম্যাকনাভের বাবা জেসন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে বলেন, ৭ মাস বয়সে সে বই দেখে ছবি শনাক্ত করতে পারত। ১ বছর বয়সে সে রঙের নাম, সংখ্যা ও বর্ণমালা শিখতে শুরু করে।
ইসলার দ্বিতীয় জন্মদিনে তার খালা তাকে লেখা মুছে ফেলা যায়, এমন একটি ট্যাবলেট উপহার দেন। সেখা জেসন একদিন ইংরেজিতে ‘রেড’ শব্দটি লেখেন। সবাইকে অবাক করে দিয়ে ইসলা সেই শব্দটি বানান করে পড়তে পেরেছিল।
এরপর বিভিন্ন রঙের নাম লেখা হয়। ইসলা জোরে জোরে কোনো ধরনের দ্বিধা ছাড়াই সেগুলো পড়েছিল।
সন্তানের এই প্রতিভার চর্চা ধরে রাখতে ইসলাকে তার বাবা–মা মেনসাতে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। জেসন বলেন, আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা মেনসার সবচেয়ে বড় ভালো দিক হচ্ছে, এটি প্রতিভাবানদের একটি সংগঠন। এখন ইসলা প্রি–স্কুলে পড়ছে।