শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রমের মধ্যে রাখতে ছুটি আর না বাড়িয়ে আগামী ২৮ এপ্রিল থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর ক্ষতি পোষাতে ৪ মে থেকে শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, দেশের বিদ্যমান তাপমাত্রা সর্বোচ্চ নয়। আর সব অঞ্চলের তাপমাত্রা সমান নয় বিধায় গ্রামে শিক্ষার্থী-অভিভাবকেরা স্কুল বন্ধ চান না। ছুটির পক্ষে শুধুমাত্র শহরের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পোষানো, শ্রেণি কার্যক্রমের মধ্যে রাখতে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হবে। এর মধ্যে অ্যাসেম্বলির মতো কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে।
ঈদুল ফিতর ও নববর্ষের দীর্ঘ ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে হঠাৎ তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এক সপ্তাহের জন্য ছুটি দেওয়া হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমান তাপমাত্রা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নয়। তাছাড়া বাংলাদেশে সব অঞ্চলের বর্তমান তাপমাত্রাও সমান নয়। এ কারণে আগামী রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হলে গরমের মধ্যে শিক্ষার্থীদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সেজন্য কিছু নির্দেশনা দেওয়া হবে। এর মধ্যে, শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের বাইরের কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে হবে। এ ছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানায়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চলমান ছুটি শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর প্রথম শনিবার আগামী ৪ মে থেকে শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকবে।
এদিকে তাপদাহের কারণে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আর বাড়বে কি না, তা আগামী শুক্র-শনিবারের মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাপমাত্রার কথা তো বলা যায় না। তাপমাত্রা আপ-ডাউন হয়। আমাদের দুদিন (শুক্র ও শনিবার) বন্ধ আছে, আমরা একটু দেখি, দেখে তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর কথাতেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
তীব্র তাপদাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর দাবি তুলেছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। চলমান ছুটি শেষে তা আর না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনায় এবং হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা পেতে অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে।