ঢাকায় পাতাল মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ শুরু হবে আগামী বছর মার্চে এবং ২০২৬ সালে যাত্রী পরিবহন চালু করার পরিকল্পনা করছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ১২টি প্যাকেজের আওতায় এমআরটি-১ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকায় প্রথম পাতাল রেলপথের নির্মাণকাজ করা হবে। প্রথম প্যাকেজে ডিপোর ভূমি উন্নয়ন ও আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। এ জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে দরপত্রপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তার ছয় মাসের মধ্যে রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জে ডিপো নির্মাণের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন তিনি।
এই রেললাইনের দুটি অংশ থাকবে। প্রথম অংশটি পুরোপুরি পাতালপথে। ঢাকার বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত পাতাল অংশ নির্মাণ করা হবে। যার দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার। আর কমলাপুর থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে উড়ালপথ। যার দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার।
ঢাকা মহানগরীর ১১টি রুটে ২৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পাতালরেল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার। এর মধ্যে চারটি রুটের প্রাথমিক নকশা প্রণয়নের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। সেতু বিভাগের অধীনে এসব রেলপথ নির্মাণ করা হবে বলে জানা গেছে। প্রায় চার বছর আগে পাতালরেলের পরিকল্পনা করে সেতু বিভাগ। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই ও প্রাথমিক নকশা প্রণয়ন এগিয়েছে ৬৪ শতাংশ।
সেতু বিভাগের তথ্যমতে, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ঢাকা শহরের প্রায় ৮০ লাখ কর্মজীবী মানুষের অর্ধেকই মাটির নিচ দিয়ে চলাচল করতে পারবেন। ফলে মাটির উপরিভাগে যান ও জনজট কমবে। বাঁচবে কর্মঘণ্টা, যানজটের অসহনীয় দুর্ভোগ থেকেও রেহাই মিলবে।
তাছাড়া ২০২১ সালের ডিসেম্বরে প্রথমবারেই চালু হতে পারে দেশের প্রথম মেট্রোরেল। ইতিমধ্যে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত এই প্রকল্পের উড়ালসড়কের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই অংশটুকুর রেললাইন ও স্টেশন নির্মাণের কাজও শেষ পর্যায়ে। জাপানে নির্মিত দুটি কোচ দেশে এসে পৌঁছে। বাকিগুলোও শিগগিরই চলে আসবে। এ ছাড়া আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশের কাজও চলছে দ্রুত গতিতে।