১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশের প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘১০ ডিসেম্বর কিছুই হবে না। ওই দিন আমরাও মাঠে থাকব। তাদের (বিএনপি) কোনো বাধা দেব না। কিন্তু তাঁরা যদি আগুন নিয়ে খেলতে চান, লাঠি নিয়ে খেলতে চান, তাহলে আমরা তা হতে দেব না। বিএনপির সঙ্গে খেলা হবে। খেলা হবে নির্বাচনে, খেলা হবে লুটপাটের বিরুদ্ধে, খেলা হবে ভোট চোরের বিরুদ্ধে। আজ রোববার দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পিরোজপুরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধনী ভাষণে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব ফখরুল সাহেব তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেন। বিশ্বের কোথায় আছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার? একসময় খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে বলেছিলেন, পাগল ও শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নন। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা উচ্চ আদালত বাতিল করে দিয়েছেন। এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উদ্ভট দাবি করছে বিএনপি। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো হবে। বিএনপি আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা করছে। আগুন–সন্ত্রাস করেছে। কানাডার আদালত তাদের সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বাংলাদেশের মানুষ বোকা নন। মানুষকে ধোঁকা দিয়ে ফখরুল সাহেব বোকা বানাতে পারবেন না।ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘দেশে দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। কোথাও কোনো দেশে কেউ সরকার পতনের দাবি করছে না। অথচ যে সরকার উন্নয়নের রেকর্ড করেছে, বিএনপি সেই সরকারের পতন চায়। কিসের আন্দোলন? ১০ ডিসেম্বর আমরাও মাঠে থাকব। দেখা যাবে কত ধানে কত চাল।’ দলের নেতা-কর্মীদের বিএনপির বিরুদ্ধে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যাঁরা হাওয়া ভবন করে দেশের সম্পদ লুট করেছেন, দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন, আজ ওই দলের বিরুদ্ধে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়ালের সভাপতিত্বে সম্মেলনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন দলে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু। প্রধান বক্তা হিসেবে রয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। ২০১৫ সালের ১১ ডিসেম্বর পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে এ কে এম এ আউয়াল সভাপতি ও এম এ হাকিম হাওলাদার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও দীর্ঘদিন ধরে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে বিকেলে দ্বিতীয় অধিবেশনে নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হবে।