সাদমান ইসলাম ক্যাচ মিস না করলে প্রথম বলেই আউট হতে পারতেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু এরপর যতটা সময় থেকেছেন, ততটা সময় বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে ছিলেন তিনি।
আগা সালমানকে সঙ্গে নিয়ে হাঁটছিলেন বড় জুটির দিকেই। কিন্তু দিনের দ্বিতীয় সেশনে তাকে সাজঘরে ফেরান হাসান মাহমুদ। বাংলাদেশও পায় ব্রেকথ্রু। পরের বলেও উইকেটের দেখা পান হাসান, জাগিয়ে তোলেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। যদিও সেটি হয়নি। তবে তার জোড়া আঘাতে জয়ের সুবাস বেশ ভালোভাবেই পাচ্ছে টাইগাররা।
রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করে ২৬২ রান। চতুর্থ দিনে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান করেছে পাকিস্তান। লিড নিয়েছে ১৫৭ রানের। আগা সালমান ২৪ ও আবরার আহমেদ ২ রানে ব্যাট করছেন।
আগের দিন খুররাম শেহজাদ আউট হলে খেলা শেষ হয়ে যায়। এরপর চতুর্থ দিনের শুরুতে সায়েম আইয়ুবের সঙ্গী হন শান মাসুদ। দিনের নবম ওভারে তাদের জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। ড্রাইভ করতে গেলে মিড অফে তার দারুণ ক্যাচ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৩৫ বলে ২০ রান করে ফেরেন আইয়ুব।
টানা ছয় ওভার করার পর তাসকিনকে সরিয়ে আনা হয় নাহিদ রানাকে। এই পেসার দুর্দান্ত এক স্পেলই করেন। টানা তিন ওভারে উইকেট পান। শুরুটা হয় পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদকে দিয়ে।
গুড লেন্থের বল বেরিয়ে যাওয়ার সময় ড্রাইভ করতে যান শান মাসুদ, কিন্তু বল ব্যাট ছুয়ে যায় উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে। ৩৪ বলে ২৮ রান করেন তিনি। পরের ওভারে এসে বাবর আজমও আউট হন। ১৮ বলে ১১ রান করার পর স্লিপে সাদমান ইসলামের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
পরের বলেই আরও একটি উইকেট পেয়ে যেতে পারতেন নাহিদ। কিন্তু মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই রিজওয়ানের তুলে দেওয়া ক্যাচ বাঁ দিকে সরে নিতে পারেননি সাদমান। এরপরও অবশ্য উইকেট পেয়েছেন নাহিদ।
১০ বলে ২ রান করা সৌদ শাকিল নাহিদের বলেই ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক লিটনের হাতে। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগে অবশ্য বাংলাদেশকে ভুগতে হচ্ছে রিজওয়ানের ক্যাচ ছাড়ার জন্য। দ্বিতীয় সেশনে নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই পঞ্চম বলে রিজওয়ানকে (৪৩) ফেরান হাসান। অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেন এই পাকিস্তানি ব্যাটার। পরের বলে স্লিপে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ আলী।