গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সাথে ইসরাইল চার দিনের যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী মুক্তির সমঝোতায় পৌঁছলেও তা বাস্তবায়নে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফলে হামাস আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ঘোষণা করলেও বন্দী মুক্তি আগামীকাল শুক্রবারের আগে হচ্ছে না বলে ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের চেয়ারম্যান জাচি হ্যানেগবি ঘোষণা করেছেন।
সিনিয়র হামাস কর্মকর্তা মুসা আল মারজুক বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেন যে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। তার ঘোষণার কিছু সময় পর সিনিয়র এক ইসরাইলি কর্মকর্তা পরিচয় প্রকাশ না করে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তবে হ্যানেগবি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের বন্দীদের মুক্তি নিয়ে আলোচনায় অব্যাহতভাবে অগ্রগতি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘পক্ষগুলোর মধ্যে মূল সমঝোতা অনুযায়ী মুক্তি ঘটবে, এবং তা শুক্রবারের আগে হবে না।’
ইসরাইলের একটি সরকারি সূত্র আরো জানিয়েছে, প্রথম দিনে কাদের মুক্তি দেয়া হবে তার একটি তালিকা হামাসের কাছ থেকে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ডেভিড বারনিয়া এবং ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্সের জেনারেল নিতজান অ্যালন পেয়েছেন। তবে মিডিয়ায় যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তার সাথে এই তালিকার গড়মিল রয়েছে। উল্লেখ্য, চুক্তির বিস্তারিত বিষয় সম্পন্ন করার জন্য এই দুই কর্মকর্তা এখন কাতার রয়েছেন।
স্বজনদের মধ্যে যাতে মিথ্যা আশার সৃষ্টি না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য ইসরাইল কারা মুক্তি পাচ্ছে, তার তালিকা প্রকাশ করেনি।
একটি সূত্র জানিয়েছে, পক্ষগুলো এখনো চুক্তির নথিতে সই করেনি। এ কারণেও বন্দীদের মুক্তি বিলম্বিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, হামাস ও ইসরাইলের মধ্যকার সমঝোতা অনুযায়ী চার দিনের যুদ্ধবিরতি হবে। হামাস প্রায় ৫০ বন্দীকে মুক্তি দেবে। ইসরাইল মুক্তি দেবে ১৫০ থেকে ৩০০ ফিলিস্তিনিকে। এছাড়া গাজায় অবাধে জ্বালানিসহ ত্রাণসামগ্রী প্রবেশ করার সুযোগ দেবে ইসরাইল।