একাত্তরে ছেলেকে বাঁচানোর জন্যে প্রাণ দেন এক বাবা। সেই ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান কবির তুলে ধরেন কয়টি প্রশ্ন। তিনি বলেন “রাষ্ট্র কি শহীদদের কোন তালিকা করেছে? আমরা কি পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পেরেছি শহীদদের আত্মত্যাগের কথা?”
স্বাধীনতার পরেও একটি বড় সময় ক্ষমতায় ছিল স্বাধীনতা বিরধি গোষ্ঠী। সুযোগ ভোগ করেছে রাজাকাররা। ঘটানো হয়েছে ইতিহাসের বিকৃতি। তাই আজ ইতিহাস নিয়ে এত বিভ্রান্তি।
বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন রাষ্ট্র ক্ষমতায়। তাই উপযুক্ত সম্মান পেয়েছে অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তার কারণে বিচার হয়েছে অনেক রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের। পেয়েছে তারা উপযুক্ত শাস্তি। এর ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের বুকে জমে থাকা কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন একই ছিল। তিনি সিদ্ধার্থ শংকর রায়কে বলেছিলেন- ” আমি বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার একটা বীজ পুতে রেখে গেলাম। এই বীজ যেদিন উৎপাটন করা হবে, সেদিন বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।” আমরা কি যাচ্ছি সেই পথে?
আসুন আমরা সকলে মিলে ইতিহাস সংরক্ষণের চেষ্টা করি। সম্মান দেই তাদের যারা জীবন দিয়েছেন এই অমুল্য স্বাধীনতার জন্যে। ঘৃণা করি তাদের যারা ছিলেন জাতির বিপক্ষে।