অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ সর্বশেষ

স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

সরকারি খরচ কমাতে কম গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র ক্রয় এড়িয়ে চলুন: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, বিভিন্ন খাতে গ্যাসের চাহিদা মেটানোর জন্য স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানির প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কারণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাপী সব ধরনের জ্বালানির মূল্যে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। এ ছাড়া জ্বালানিসংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যয়, যেমন বিমা খরচ, ঝুঁকি ব্যয়, ব্যাংক সুদ, মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান সমন্বয় করতে হচ্ছে। তাই সামগ্রিকভাবে জ্বালানি খাতে ব্যয় ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববাজারে এলএনজির আমদানি মূল্যও অস্বাভাবিক পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় এ খাতে সরকারকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি দিতে হচ্ছিল।সরকারপ্রধান বলেন, চলমান কৃষি সেচ মৌসুম, আসন্ন রমজান ও গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের বর্ধিত চাহিদা মেটানো, শিল্প খাতে উৎপাদন নিরবচ্ছিন্ন রাখা ও রপ্তানিমুখী বিভিন্ন কলকারখানার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যে স্পট মার্কেট থেকে বেশি দামে এলএনজি আমদানি করে বর্ধিত চাহিদা পূরণ করতে হবে। সে কারণে সরকার অন্যান্য ভোক্তাশ্রেণিকে অপরিবর্তিত রেখে শুধু বিদ্যুৎ, শিল্প, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই খাতগুলোয় গ্যাসের চাহিদা মেটানোর জন্য স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালে দৈনিক গ্যাস উৎপাদনক্ষমতা ছিল ১ হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট। ২০১৮ সালে উৎপাদনক্ষমতা বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। আর বর্তমানে দৈনিক গ্যাস উৎপাদনক্ষমতা ২ হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট।বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারণ ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমদানি করা তরল গ্যাসের ব্যবহার, আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাস ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ–সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণব্যবস্থার উন্নয়নে বিনিয়োগ, উৎপাদন ব্যয় ও বিক্রয়মূল্যের মধ্যে সমন্বয় এবং বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার মূল্যমানের সমন্বয়ের কারণে বিদ্যুতের পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মূল্য বাড়ানো হয়ে থাকে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১–২২ অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির পরিমাণ ছিল প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০২৩ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কা–সম্পর্কিত বৈশ্বিক পর্যবেক্ষণ বিষয়ে সরকার সতর্ক দৃষ্টি রাখছে এবং সম্ভাব্য মন্দার প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত রাখার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। রাজস্বনীতি ও মুদ্রানীতিগুলোর মধ্যে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে। উৎপাদনশীল ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে প্রয়োজনীয় সম্পদপ্রবাহ অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যে সরকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয় হ্রাসের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আয়বর্ধক উৎপাদনশীল খাতে সম্পদপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে ও সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় প্রান্তিক জনগণের ক্রয়ক্ষমতা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হলে অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব অনেকাংশে প্রশমন ও এড়িয়ে চলা সম্ভব। সরকারি দলের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের অভূতপূর্ব সাফল্য বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও কৃষিপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে আমাদের সরকার সার ব্যবস্থাপনা সংস্কার, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রণোদনা প্রদান, সারসহ কৃষি উপকরণে উন্নয়নসহায়তা প্রদান করছে। দেশে আধুনিক কৃষিব্যবস্থা প্রবর্তনের লক্ষ্যে উন্নয়নসহায়তায় কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের সহায়তার লক্ষ্যে স্বল্প সুদে কৃষিঋণের ব্যবস্থা, সাশ্রয়ী মূল্যে সার, উন্নত জাতের বীজ ও সেচের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফলে জলবায়ু পরিবর্তন এবং কোভিড-১৯ মহামারি অভিঘাত ও বৈশ্বিক সংকট সত্ত্বেও কৃষির উন্নতি ও আধুনিক কৃষিব্যবস্থা প্রবর্তনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

 

সম্পর্কিত খবর

ভবিষ্যৎ মহামারী মোকাবেলায় বৈশ্বিক চুক্তিতে পৌঁছার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

gmtnews

টানা পাঁচবার সোনা জয়ের রেকর্ড লোপেজের

gmtnews

যুক্তরাষ্ট্রে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৪ জন নিহত

gmtnews

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত