আফগানিস্তানকে কেবল ১১৬ রানেই আটকে রেখেছিল বাংলাদেশ। এরপর এই রান করতে হতো ১২ ওভার ১ বলে।
তাহলেই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যেতে পারতো বাংলাদেশ। প্রথম কয়েক ওভার ওই রকম ব্যাট করতেও দেখা যায়।
কিন্তু তাওহীদ হৃদয় আউট হওয়ার পর প্রেক্ষাপট বদলে যায়। ১০ম ওভারে মাহমদুউল্লাহ রিয়াদ পাঁচটি ডট খেলেন। শেষ অবধি বাংলাদেশ ১০৫ রানে অলআউট হয়ে গিয়ে ম্যাচ হারে। অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিতে চলে গেছে আফগানিস্তান।
এ নিয়ে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা খুব ভালো বল করেছি। অনেক কিছুই ভালো করেছি কিন্তু ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে, কিছু বাজে সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিশেষ করে মিডল ওভারে। এটার মূল্যই দিতে হয়েছে আজ। ’
‘পরিকল্পনা ছিল প্রথম ছয় ওভারে জোরালোভাবে চেষ্টা করা (সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য)। এটা হয়নি আর মিডল অর্ডারও ঠিকঠাক (পরিকল্পনা) বাস্তবায়ন করতে পারেনি। পুরো টুর্নামেন্টে আমরা ভালো বল করেছি, বিশেষত রিশাদ, পেস বোলাররাও ভালো করেছে। ’
প্রথম ওভারে ১৩ রান নিয়েছিলেন লিটন দাস। কিন্তু পরে টানা দুই ওভারের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। অধিনায়ক শান্ত ও সাকিব আল হাসান দুজন ফেরেন নাভিন উল হকের টানা দুই বলে। টপ অর্ডারদের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন শান্তও।
তিনি বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে উন্নতি করা দরকার, টপ-অর্ডার ভালোভাবে পারফর্ম করতে পারেনি। এটা হতেই পারে যখন বল ভিজে গেছে। আমি যেমন বলেছি, পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে পারিনি ব্যাট হাতে। আর অনেক সিদ্ধান্ত ভুল হয়েছে।