পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) গ্রুপ থেকে বাংলাদেশের সুষ্ঠুভাবে উত্তোরণে ঢাকা নরওয়ের সার্বিক সমর্থন কামনা করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের পারস্পরিক স্বার্থে যেমন লজিস্টিক, শিপিং, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা, নবায়নযোগ্য শক্তি, বাড়ি নির্মাণ সামগ্রী এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, খাতে নরওয়ের বর্ধিত উপস্থিতি দেখতে চাই।’
বাংলাদেশ-নরওয়ের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োাজিত গতকাল এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মোমেন এসব কথা বলেন। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানেকিন হুইটফেল্ট।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নরওয়েকে ব্লু -ইকোনমিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশকে গবেষণা ও উদ্ভাবনের সম্ভাব্য অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন,‘ রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বর্তমান মেয়াদে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে নরওয়ের গঠনমূলক ভূমিকা আমরা স্বীকার করছি।’
ডঃ মোমেন বলেন, বাংলাদেশ এবং নরওয়ে উভয় দেশই বহুপাক্ষিকতার একনিষ্ঠ সমর্থক এবং পররাষ্ট্রনীতির স্বাধীনতা বজায় রাখে। তিনি আরও বলেন, যে ক্রমবর্ধমান অস্থির বিশ্বব্যবস্থার মধ্যে শান্তি কূটনীতির অন্বেষণে ঢাকা নরওয়ের একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার।’
ড. মোমেন বলেন, নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক প্রচারণায় বাংলাদেশ নরওয়ে এবং অন্যান্য অংশীজনের সাথে একত্রে কাজ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও নরওয়ে আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় উভয় প্রেক্ষাপটে নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, আমাদের নারী ও মেয়েরা জীবনের সব ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতার ছাপ রেখে চলছে।’
প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসেবে নরওয়েই ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় বলে তিনি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। ।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমাদের জাতি একটি কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনের প্রচেষ্টা শুরু করেছিল। সে সময় নরওয়ের সরকার ও জনগণ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।’
তিনি বলেন, বছরের পর বছর ধরে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিশীলতা ঐতিহ্যগত উন্নয়ন সহযোগিতা থেকে পারস্পরিক উপকারী অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বে স্থানান্তরিত হয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা বর্ধিত বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং সামুদ্রিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আরও গতিশীলতা আনতে আমাদের চুক্তি নবায়ন করেছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নবনির্বাচিত নরওয়ে সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার গতি বজায় রাখতে বাংলাদেশ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।