পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, সরকারের সমালোচনা সঠিকভাবে করুন। আমি যাদের সঙ্গে কাজ করি তারা সমালোচনা পছন্দ করেন। কারণ এর মাধ্যমে আমরা লাভবান হই কিছু শিখতে পারি। আমরা সমালোচনাকে সবসময়ই সাধুবাদ জানাই। তবে তা সঠিক হতে হবে।
শুক্রবার সিদ্ধেশরীতে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্কের (বেন) বার্ষিক সম্মেলন ২০২২ এর উদ্বোধনী অধিবেশনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমাদের বৈদেশিক নির্ভরতা কিছুটা আছে। বৈদেশিক নির্ভরতা বৈদেশিক দখলদারিত্ব থেকে এসেছে। শুধু ভূমি নয়, মানসিক ও সংস্কৃতির দখলদারিত্বও প্রকট হচ্ছে। এ থেকে বের হওয়ার জন্য আমাদের বিকল্প পথ আছে। তবে আশার কথা যে, অঙ্কের হিসেবে বৈদেশিক নির্ভরতা কমছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আর আগের অবস্থানে নেই। দেশের অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। বৈদেশিক নির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের টাকায় পদ্মাসেতুর মতো বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। কিন্তু অপচয়জনিত কাজ আমাকে কষ্ট দেয়। ছোটবেলা মা-বাবা বলতেন খাবার নষ্ট করো না। খাবার নষ্ট করলে পাপ হয়। এটাও একটা শিক্ষা। আমাদের সব ক্ষেত্রে অপচয় কমাতেই হবে। নাগরিক সমাজকে এসব বিষয়ে নজর দিতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আলোচিত বিষয়। বিদ্যুতের কিছু ঘাটতি আছে, রামপাল-কয়লা নিয়ে সমালোচনা হয়। তবে সবকিছু ছাপিয়ে ১৮ কোটি ঘরে বিদ্যুৎ জ্বলে উঠেছে। বিদ্যুতের ঝলকে ঘাটতি আড়ালে পড়ে গেছে। দুর্দশাগ্রস্ত মানুষদের ৯৮ শতাংশ ঘরে বিদ্যুৎ জ্বালিয়েছি। এটা কম সফলতা নয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, অর্থনীতির ৮৫ ভাগ বেসরকারি খাতে আছে। তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয় সরকারকে। ফলে অনেক কিছু পেছনে পড়ে যায়। সরকার চাইলেই একার পক্ষে সবকিছু সম্ভব নয়। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের চলতে হয়।
এবারের অধিবেশনের অন্যতম লক্ষ্য জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়ন। এতে অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, বাপার সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, সাধারণ সম্পাদক শরিফ জামিল বক্তব্য রাখেন।