আজ রোববার ঢাকা মহানগরে ‘১ মিনিট শব্দহীন’ কর্মসূচি পালন করেছে সরকার। কর্মসূচি চলেছিল সকাল ১০টা থেকে ১০টা ১ মিনিট পর্যন্ত। শব্দদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মানুষকে মুক্ত রাখতে সচেতনতার অংশ হিসেবে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির কথা জানিয়েছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছিল শব্দসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ‘শব্দদূষণ বন্ধ করি, নীরব মিনিট পালন করি’ এই কর্মসূচি পালিত হবে।
কর্মসূচি সফল করতে আজ ঢাকা শহরের ১১টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মানববন্ধন করা হয়েছিল। জায়গাগুলো ছিল ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের সামনে, শাহবাগ মোড়, উত্তরা, বিজয় সরণি মোড়, মিরপুর–১০ নম্বর গোলচত্বর, গাবতলী, মগবাজার, মহাখালী, গুলশান–১, কমলাপুর, বৌদ্ধমন্দির ও যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা।
পরিবেশ সচিব ওইদিন বলেছিলেন, এক মিনিট বড় বিষয় নয়, বিষয়টি ছিল একটি বার্তা দেওয়া। এটি যে একটি অপরাধ, সেই বার্তা দেওয়া।
পরিবেশ মন্ত্রণালয় বলছে, শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। অতিমাত্রায় শব্দদূষণের কারণে কানে কম শোনা, আংশিক বা পুরোপুরি বধিরতা, হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, অনিদ্রা, মনঃসংযোগ নষ্টসহ বিভিন্ন মানসিক সমস্যা, গর্ভবতী মায়েদের অকাল গর্ভপাত, গর্ভস্থ বাচ্চা বধির বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর জন্ম হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। শব্দদূষণের ফলে দেশের মানবসম্পদ তথা সামগ্রিক প্রবৃদ্ধির (জিডিপি) ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
শব্দদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেশবাসীকে মুক্ত রাখতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবহনচালক, কারখানা ও নির্মাণশ্রমিক, সরকারি–বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, ইমাম, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।