জাতীয় সংসদে ২০২১-২১ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট পাস হয়েছে। পাস হওয়া এ বাজেট রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম দিন (১ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে।
বুধবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্দিষ্টকরণ বিল পাসের প্রস্তাব করেন। সংসদে উপস্থিত এমপিদের কণ্ঠভোটে তা পাস করেন স্পিকার।
বাজেটে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা ব্যয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে। যা সদ্যবিগত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা ব্যয় হবে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি)। আর পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ২৮ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। অন্যান্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৭ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা। বাজেট বাস্তবায়নে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা বাজেটের ঘাটতি। ঘাটতি মেটাতে সরকার বৈদেশিক উৎস থেকে এক লাখ এক হাজার ২২৮ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। আর এক লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা নেবে দেশের ভেতর থেকে।
বুধবার জাতীয় সংসদে ৫৯টি দফায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার বরাদ্দ মঞ্জুরির প্রস্তাব তুলে ধরেন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা। দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরি দাবি সংসদে তোলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঞ্জুরি দাবিগুলোর বিপরীতে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এবং বিএনপির ১২ জন এমপি ৬২৫টি বিভিন্ন ধরনের ছাঁটাই প্রস্তাব আনেন। এর মধ্যে আইন ও বিচার বিভাগ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের দাবী ও ছাঁটাই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। বিরোধী দলের আলোচনার পর সবগুলো প্রস্তাব কণ্ঠভোটে বাতিল হয়ে যায়।
নতুন বাজেট আওয়ামী লীগ সরকারের এবারের মেয়াদের তৃতীয়। আর মহামারি করোনার মধ্যে দ্বিতীয় বাজেট। অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম- ‘জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ’। করোনার কারণে বিদায়ী অর্থবছরে রাজস্ব সংগ্রহ কম হয়েছে। এ বছরও সেই ধারা অব্যাহত থাকবে ধরে নিয়ে সরকার বড় ঘাটতি নিয়ে বাজেট করেছে।