অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
অর্থনীতি বাংলাদেশ রাজনীতি

সংসদে প্রশ্নোত্তর দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জাতীয় সংসদে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েকটি গণমাধ্যম ও প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা করেছেন। তবে তিনি কোনো গণমাধ্যমের নাম উল্লেখ করেননি। প্রতিটি ক্ষেত্রে কিছু কিছু পত্রিকা বিভ্রান্তিকর শিরোনাম দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। আজ বুধবার বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার করা সম্পূরক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি এ সমালোচনা করেন।রুমিন ফারহানা সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, বাংলাদেশে ৬৮ শতাংশ মানুষ খাবার কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। এই প্রতিবেদন ওয়ার্ল্ড ফুড প্রজেক্টের। সিপিডি বলছে, দক্ষিণ এশিয়ায় খাবারের দাম সবচেয়ে বেশি। যে ৪২টি দেশে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে, বাংলাদেশ তার একটি। এমনকি প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত বারবার বলছেন, দুর্ভিক্ষ হতে পারে, সবাই যেন সাবধান হয়। তিনি বলেন, প্রথম আলোর লিড নিউজ, চাল, আটা, ভুট্টার দামে রেকর্ড। খোলা আটা ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ছিল ৩০ টাকা। সেটা এই অক্টোবরে এসে দাঁড়িয়েছে ৫৫ টাকা। মোটা চাল ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ছিল ৩২ টাকা, এ বছর সেপ্টেম্বর মাসে এসে দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা। ভুট্টা ২৪ টাকা থেকে হয়েছে ৩৪ দশমিক ৫ টাকায়। এর সঙ্গে মূল্যস্ফীতিও বেড়েছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, এ পরিস্থিতি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার কী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে? জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি, ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার কিছু লোক থাকে। সেসব লোকের কথাই মাননীয় সদস্য বলেছেন।

যে পত্রিকাগুলোর নাম তিনি নিয়েছেন, তার মধ্যে একটা পত্রিকা কিন্তু আমি কখনো পড়ি না। পড়ি না এই কারণে, তারা সব সময় উল্টো দিকে থাকে। এরা কখনো বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকুক, তা চায় না। একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তারা পছন্দ করে। পছন্দ করে এ জন্য যে তাদের একটু ভালো হয়তো কোনো রকম কদর বাড়ে, সে জন্য।’সিপিডির নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন ‘আর যে প্রতিষ্ঠানটির কথা বলেছেন, এই প্রতিষ্ঠানটি কোনো দিনই কোনো হিসাবেই তারা কোন জায়গা থেকে হিসাব পায় জানি না। এই হিসাব তাদের কখনোই সঠিক হিসাব হয় না।’দেশে পণ্যের দাম বেড়েছে, সেটা সরকার অস্বীকার করছে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হেডলাইন দিয়েছে সব দেশের থেকে বাংলাদেশে পণ্যমূল্য বেশি। কিন্তু ভেতরে যে ডেটা দিয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ হিসাবে আসে না। বাংলাদেশ কয়েকটা দেশ থেকেই ভালো অবস্থায় আছে। এরা কারসাজিটা এভাবেই করে। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে কিছু কিছু পত্রিকা এখন এমনভাবে একটা হেডলাইন করে, যা বিভ্রান্তিকর। ভেতরে জাতি দেখুক, সেটা সঠিক না। সঠিক তথ্য তারা দেয় না। বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেয়।সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, ‘আর যে প্রতিষ্ঠানটির কথা উনি (রুমিন) উল্লেখ করেছেন, সে প্রতিষ্ঠানের তো কোনো কিছুই ভালো লাগে না। তাদের ভালো লাগে কখন, যখন সেনাশাসন ছিল, যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল, তাদের একটু কদর বাড়ত। এ আশায় তারা বসে থাকে, এটাই বাস্তবতা। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যে পত্রিকা আর যে প্রতিষ্ঠান, ওই প্রতিষ্ঠানের সবাইকে আমার খুব ভালো চেনা আছে। আমাদের মতিয়া আপার (মতিয়া চৌধুরী) ভাষায় বলতে হয়, একটা প্রতিষ্ঠান আছে, তার প্রধানকে মতিয়া আপা নাম দিয়েছেন, আসল নাম বাদ দিয়ে বলেছেন সেনাপ্রিয়। অর্থাৎ অস্বাভাবিক একটা পরিস্থিতিতে তাদের একটু দাম বাড়ে, মূল্য বাড়ে, এটাই বাস্তবতা। আমরা জনগণের পাশে আছি, জনগণের সঙ্গে থাকব। তারা যেটা বলছে বলতে দিন। আমি যা, আমার যা কাজ করার, সেটা আমি করে যাব।

 

সম্পর্কিত খবর

তরুণরাই দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে : অর্থমন্ত্রী

gmtnews

বিএনপির ২৪ ডিসেম্বরের কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান কাদেরের

gmtnews

রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ

gmtnews

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত