শুক্রবার ঢাকাসহ সারাদেশে পালিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস। এই উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা এবং অসহায়দের মাঝে বস্ত্র ও খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার জনসমাগম এড়িয়ে আওয়ামী লীগ ও দলের অঙ্গ-সহযোগী এবং বিভিন্ন সংগঠন দিবসটি পালন করে।
ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগ দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ ভাটারা থানার সোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দুঃস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ১১টায় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে ১৯ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ সংগঠনের কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ। উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু। এতে শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়।
আওয়ামী যুবলীগ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে বাদ আসর শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। এ ছাড়া সারা দেশে যুবলীগের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ভোরে আওয়ামী লীগ সভাপতির বাসভবন সুধাসদন থেকে আটক করা হয় শেখ হাসিনাকে। পরে কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত বিশেষ কারাগারে বন্দি রাখা হয় তাকে। এর প্রতিবাদে ফেটে পড়েন দলটির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। ধীরে ধীরে তা তীব্র হয়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আট সপ্তাহের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তির পরদিনই তিনি চিকিৎসার উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্রে যান। চিকিৎসা শেষে ২০০৮ সালের ৬ নভেম্বর দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা। এর পর স্থায়ী জামিন দেওয়া হয় তাকে। পরে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে জয়ের মধ্য দিয়ে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগসহ মহাজোট সরকার গঠিত হয়। দ্বিতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা।