ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’–এর প্রভাবে চলতি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সারা দেশের তাপমাত্রা কমে যায়। এ সময় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে এসেছিল। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ওই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩ ডিসেম্বর। তারপরের দুদিনও তেঁতুলিয়ায় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। চলতি মৌসুমে তা সবচেয়ে কম তাপমাত্রার রেকর্ড। তবে এটি স্বাভাবিক অবস্থা নয়, বিশেষ পরিস্থিতি।
ঘূর্ণিঝড়ের বিদায়ের পর প্রকৃতিতে এখন স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে। হেমন্ত বিদায় নিচ্ছে, প্রকৃতিতে শীতকাল আসছে। স্বাভাবিকভাবেই এখন শীতের অনুভূতি বাড়ছে। এ রকম স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেও গতকাল রোববার চলতি মৌসুমের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে তেঁতুলিয়ায়, ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, আজ সোমবার সারা দেশে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এতে শীতের অনুভূতি আরেকটু বাড়বে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে গতকাল সন্ধ্যায় প্রকাশ করা বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, রাতের তাপমাত্রা আজও সামান্য কমতে পারে। আর কুয়াশা পড়বে মধ্যরাত থেকে। এ ছাড়া আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের অন্যান্য এলাকায় একই সময়ে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক গতকাল রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার থেকে সারা দেশের তাপমাত্রা দুই–এক ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদদের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে শীত অনুভূত হয়। গতকাল তেঁতুলিয়া ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা কম ছিল। এর মধ্যে ১৪ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুর, নওগাঁর বদলগাছী, নীলফামারীর সৈয়দপুর ও বগুড়ায়। দেশের আরও কিছু অঞ্চলের তাপমাত্রা ১৬ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। আর গতকাল ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
অন্যদিকে গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে, ৩০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক মাসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে দুটি মৃদু বা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।