বলটা মিড অফে ঠেলেই দৌড় শুরু করলেন মুমিনুল হক। তখনও নন স্ট্রাইক প্রান্তে দাঁড়ানো নাজমুল হোসেন শান্ত তাকিয়ে ছিলেন বলের দিকে।
মুমিনুল এরপরও যখন আবার ফিরতে শুরু করলেন, ততক্ষণে স্টাম্প ভাঙা হয়ে গেছে। ঠিকঠাক আর সামনের দিকে তাকালেনও না মুমিনুল, তার পথ তখন ড্রেসিংরুমের দিকে।
এই ঘটনায় একটু যদি কষ্ট জমা হয়েও থাকে, দিনশেষে নিশ্চয়ই উবে গেছে। ২০৫ রানের লিড নিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের চতুর্থ দিনে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। সেঞ্চুরি করে তাতে বড় অবদান রেখেছেন শান্ত। দিনশেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন মুমিনুল। তিনি বলেন, ‘শান্ত গত ২-৩ বছর ধরে খুবই ভালো ব্যাটিং করছে। এটা ধরে রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ও খেলা খুব ভালো বোঝে। নিজের খেলা সম্পর্কে খুব ভালো জানে। ক্লিয়ার মাইন্ড থাকে। হোক টেস্ট, হোক ওয়ানডে। প্রতিপক্ষের পরিকল্পনা খুব ভালো বোঝে। আউটস্ট্যান্ডিং ইনিংস ছিল। ওরা যে চাপ সৃষ্টি করেছে তার মধ্যে খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। ’
এ ম্যাচে টেস্ট অধিনায়কত্বের অভিষেক হয়েছে শান্তর। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এমন ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ের সময় শান্তর নেতৃত্বও ছিল দারুণ। বোলিং বদলে সফল হয়েছেন বেশ কয়েকবার, ফিল্ড প্লেসমেন্টও ছিল চোখে পড়ার মতো। শান্তর নেতৃত্ব নিয়ে সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল বলেন, ‘আপনারা আরও ভালো বুঝবেন (শান্তর নেতৃত্ব)। আপনারা বাইরে থেকে দেখেন। দল তো ভালোই খেলছে। ওই হিসেবে চিন্তা করলে আমার মনে হয় ভালো। ’
মুমিনুল হক টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন খুব বেশিদিন হয়নি। এরপর নেতৃত্ব পান সাকিব আল হাসান। এখন সেটি আপাতত নাজমুল হোসেন শান্তর কাছে। এদের নিয়ে জানতে চাইলে তুলনায় রাজি হননি মুমিনুল।
তিনি বলেন, ‘কারও সঙ্গে কারও তুলনা করা যাবে না। একেকজনের থিওরি একেকরকম। আমার মনে হয় নেতা হিসেবে ও ভালো। যেটা ভালো বোঝে সেটাই করে। ভেতরের জিনিসগুলো বোঝে। অনেক অধিনায়ক বোলারের কথা শোনে। ও ওর মতো করে। ’
‘আমি তো আল্লাহর রহমতে অনেক টেস্ট খেলেছি। মুশফিক ভাই আরও বেশি খেলেছে। আপনি ঘরের সিনিয়র হলে নিজ থেকে এগিয়ে আসা উচিৎ। না এলে কাজের প্রতি অসম্মান করছেন। নেওয়া বা না নেওয়া অধিনায়কের ব্যাপার। অনেক সময় অনেক কিছু মিসিং হয়, হ্যাং হয়ে যায়। এটা সিনিয়রদের দায়িত্ব। ’